Saturday, May 4, 2024
HomeScrolling‘আমার বাবা কোথায়? বাবাকে এনে দাও, আমার জন্য খাবার নিয়ে আসে না...

‘আমার বাবা কোথায়? বাবাকে এনে দাও, আমার জন্য খাবার নিয়ে আসে না কেন?’

হাফিজুল শরিফ,মাদারীপুর।।
মাদারীপুর ট্রাক চালক এনায়েত মল্লিককে (৩৫) পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যার মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবারসহ মাদারীপুর শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে শ্রমিক ও এলাকাবাসী। ‘আমার বাবা কোথায়? আমার বাবাকে এনে দাও। আমার জন্য খাবার নিয়ে আসে না কেন?’ এভাবেই কেউ জানতে চাইলেই নিহত এনায়েতের ছোট ছেলে ৫ বছর বয়সী মেহেরাজ বার বার এ কথা বলছে। রোববার সকাল ১১টার দিকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে উপস্থিত হয় সেও।

নিহত এনায়েতের বড় ছেলে রাব্বি মানববন্ধনে কান্না করতে করতে একটি কথাই বলছিল, আমার বাবাকে যে হত্যা করেছে তার বিচার চাই, তার ফাঁসি চাই।
মানববন্ধনে রিয়াজ মল্লিক জানান, আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি কিন্ত প্রধান আসামিকে এখন গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারিকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসি চাই। মানববন্ধনে নিহতের পরিবারের শতাধিক লোকজন ছাড়াও মাদারীপুরের ৫টি শ্রমিক ইউনিয়ন সংগঠনের শ্রমিক ও নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, নিহতের পরিবার হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। এছাড়াও কয়েকজনকে আটক করেছি। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর রোববার রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার মঠেরবাজার এলাকার মাদারীপুর- শরিয়তপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত ইজি বাইকের সাথে ট্রাকের ধাক্কা লাগায় এনায়েত মল্লিক(৩৫) কে পিটিয়ে হত্যা করার থানায় একটি মামলা হয়। নিহত এনায়েত কালকিনি উপজেলার আটি পাড়া গ্রামের জয়নাল মল্লিকের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর আলিফ রাইচ মিল থেকে চাল নিয়ে শিবচর দিয়ে আসার সময় মঠেরবাজার এলাকায় ট্রাক রেখে একটি দোকানে নাস্তা খেতে গেলে একটি ইজি বাইকের সাথে ধাক্কা লাগে ট্রাকের। এরপর স্থানীদের সাথে তর্কবিতর্কের এক পর্যায় ট্রাক ড্রাইভার এনায়েতকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি ও পিটিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যায়। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক ড্রাইভার এনায়েতেকে উদ্ধার করে সদর হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে মারা যায়। এরপর সদর থানায় মামলার ৫দিন হলেও এখনোও প্রধান আসামি রাজিব মুন্সিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments