শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুহাম্মদ (স.) বিতর্কিত একটি কার্টুন নিয়ে আলোচনা করা ইতিহাস বিষয়ের এক শিক্ষককে ফ্রান্সের রাস্তায় ছুরিকাঘাতে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এতে জড়িত এক সন্দেহভাজনকে পুলিশ গুলি করে মেরেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টায় প্যারিসের উপকণ্ঠে একটি মাধ্যমিক স্কুলের পাশে ঘটে এই হত্যাকাণ্ড। প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের অবস্থিত কনফ্লানস সেন্ট-অনরিনে নামক স্কুলটিতে ইতিহাস পড়াতেন ওই শিক্ষক।
ফ্রান্সের বিচারবিভাগীয় একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একজন কিশোরসহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সবার এই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে বলে দাবি নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীকে প্রথমে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায় তারা। পরে গুলিতে আহত হয়ে তার মৃত্যু হয়। তবে হামলাকারীর নাম-পরিচয়ের ব্যাপারে তেমন কিছু জানা যায়নি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের মুখোমুখি হওয়ার সময় ওই হামলাকারী ‘আল্লাহু আকবর’ (সৃষ্টিকর্তা সর্বশ্রেষ্ঠ) বলে চিৎকার করেন, জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো আক্রমণ করার সময় প্রায়শই এ ধরনের আওয়াজ শোনা যায়।
ফ্রান্সের সন্ত্রাস বিরোধী প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ছুরিকাঘাতে শিক্ষক মৃত্যুর এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন জড়িত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে দেখছেন তারা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ। এটাকে ‘ইসলামিক সন্ত্রাসী হামলা’ বলে উল্লেখ করে বলেছেন, শিক্ষকদের রক্ষায় পাশে দাঁড়াতে পুরো জাতি প্রস্তুত এবং এই ‘আচ্ছন্নতাবাদ’ কখনো জিতবে না।
মুহাম্মদ (স.) এর কার্টুন ছাপানোর জের ধরে ২০১৫ সালে প্যারিসে রম্য ম্যাগাজিন শার্লি এবদো ও ইহুদিদের একটি সুপারমার্কেটে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ফ্রান্সে ইসলামিক সহিংসতা অনেক বেড়েছে।