নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে তরুণদের স্বস্তিতে থাকার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস। বলেছেন, করোনায় বয়স্কদের পাশাপাশি তরুণেরাও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ভাইরাসের প্রকোপে বয়স্ক ব্যক্তিদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গাতেই তরুণদের মধ্যে এই ভাইরাস সম্পর্কে কম সতর্ক থাকার প্রবণতা দেখা দেয়ার প্রেক্ষিতে এ কথা বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মারা গেছে। প্রায় ৩ লাখ মানুষের মধ্যে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
শুরুতে যেরকম ধারণা করা হচ্ছিল যে করোনাভাইরাসের কারণে বয়স্ক ব্যক্তিরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন, নতুন কয়েকটি পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ার পর সেই ধারণা পাল্টানোর সময় এসেছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ২ হাজার ৫০০ জন করোনাভাইরাস আক্রান্তের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যাদের হাসপাতালে নিতে হয়েছে তাদের ২০% এর বয়স ২০ থেকে ৪৪ এর মধ্যে – আর ৩৮% এর বয়স ২০ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।
বৈশ্বিক হিসেবে ৮৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সী যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের প্রায় ১৫% মারা গেছেন। ৪০ বছরের কম বয়সী আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই হার ০.২%।
তবে এর মানে এই নয় যে তরুণরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হচ্ছেন না।
সিডিসির রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ এবং ত্রিশের কোঠায় বয়স যাদের, তারা যে হারে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন তা ৫০ বা ৬০ এর কোঠায় থাকা মানুষের হাসপাতালে যাওয়ার হারের চেয়ে খুব একটা কম না।