Tuesday, May 21, 2024
HomeScrollingপালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক কিনে আবার বিক্রির হিড়িক লেগেছে

পালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক কিনে আবার বিক্রির হিড়িক লেগেছে

ভারতের বাজাজ অটোমোবাইলসের জনপ্রিয় সিরিজ পালসার। ২০০১ সাল থেকে মোটরসাইকেলপ্রেমীদের মন জয় করে আসছে পালসার। এর অসাধারণ বিল্ড কোয়ালিটি, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং ভালো মাইলেজের জন্য পালসার সব বয়সীদের পছন্দ। এই ডিজাইনে বৈচিত্য না থাকলে সবাইকেই এই বাইকে মানায়। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে আসে পালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক।

পালসার ১৮০ সিসির মডেল থেকে চেসিস এবং ডিজাইন এনেছে ১৫০ টুইন ডিস্কে। পালসার ১৫০ সিঙ্গেল ডিস্ক থেকে ১৫০ টুইন ডিস্কে রয়েছে অনেক পার্থক্য। মূল পার্থক্যটা হলো টুইন ডিস্কে কিকার নেই। এটা নিয়েই খেদ রয়েছে পালসারপ্রেমীদের। অনেকেই অভিযোগ করেছেন দীর্ঘদিন বাইক না চালালে সেলফ দিয়ে বাইক স্ট্যার্ট দেয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে সিঙ্গেল ডিস্কের চেয়ে টুইন ডিস্কে মাইলেজ কম। তাই অনেকেই পালসার টুইন ডিস্ক কিনে কিছু দিন চালিয়ে আবার বিক্রি করে দিচ্ছেন।
সম্পর্কিত খবর

দেশে পালসার লাভারস, পালসার ইউজার্স, পালসার ইউজি ৫ টুইন ডিস্ক ইত্যাদি ফেসবুক গ্রুপ ভিজিট করে দেখা গেছে, যারা আশা নিয়ে পালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক কিনেছিলেন তাদের আশা পূরণ হয়নি। মূল কারণ এতে কিকার নেই। ফলে বাইক স্টার্ট দিতে সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে অনেকেই বলছেন, যে টুইন ডিস্কের পেছনের চাকার ডিস্ক অনেকেটা ড্রাম ব্রেকের মতো কাজ করে।

এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পালসার টুইন ডিস্ক কিনেছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালযের শিক্ষার্থী জুবায়ের। কিছুদিন চালানোর পর তিনি বাইকটি বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে পালসার টুইন ডিস্ক কিনেছিলাম। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি। ভেবেছিলাম কিকার নেই তাতে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে। অনেক দিন বাইক না চালালে ব্যাটারি বসে যায়। তখন স্ট্যার্ট নিতে চায় না। বাইক ঠেলে স্ট্যার্ট দিতে হয়। এছাড়াও এতে মাইলেজ কম পাওয়া যায়। পেছনে ড্রাম ব্রেকও পারফরমেন্স ভালো দিচ্ছিল না।’

একই কথা জানালেন, তন্ময় নামের আরেক পালসার টুইন ডিস্কের আরেক ইউজার। তিনি বলেন, ‘তিন মাস চালিয়ে আমি আমার পালসার বিক্রি করে দিয়েছি। কারণ একটাই কিকার নেই। বৃষ্টির দিনে একবার বাসার গ্যারেজে থেকেই ব্যাটারি বসে গিয়েছিল। কিছুতেই সেলফ স্ট্যার্ট নিচ্ছিল না।’

ব্যবহারকারীদের পালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক নিয়ে এতসব অভিযোগ থাকলেও বাইকটি হু হু বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ঢাকার বেশিরভাগ শো রুমে এটি বিক্রির জন্য ছিল না। অর্থাৎ স্টক আউট। কারণ এর চাহিদা ব্যাপক।

পালসারপ্রেমীরা আশা করছে এর পরববর্তী ভার্সনে বাজাজ এতে কিকার সংযু্ক্ত করবে। এছাড়াওতে এতে চেইন কভার এবং বেশি মাইলেজ পাওয়ার আশাও করছে পালসারপ্রেমীরা।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments