মোঃ জাফরুল হাসান, কালকিনি (মাদারীপুর)..
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বর্না আক্তার-(২০) নামের এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। আজ শনিবার দুপুরে ওই গৃবধুর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তবে চাচীর যন্ত্রনা ও নির্যাতন সইতে না পেরে ওই গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে বলে ভূক্তভোগী পরিবার যানায়।
এলাকা ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর এলাকার আন্ডারচর গ্রামের কাঞ্চন হাওলাদারের মেয়ে স্বর্না আক্তারের সঙ্গে প্রায় দুই বছর পূর্বে একই এলাকার আমির সরদারের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী জহিরুল ইসলামের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী বিদেশ থাকায় স্বর্না আক্তার বিভিন্ন সময় বাবার বাড়িতে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় স্বর্না আক্তার বেশ কিছু দিন ধরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। কিন্তু স্বর্নার চাচী নাজমা বেগম বাড়িতে বসে বিভিন্ন সময় কারনে-অকারনে স্বর্না আক্তারকে বিভিন্ন সময় জ্বালা-যন্ত্রনাসহ নির্যাতন করেন। এ জ্বালা ও নির্যাতন সইতে না পেরে পরিবারের সবার চোঁখ ফাঁকি দিয়ে দুপুরে স্বর্না তার নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। পরে খবর পেয়ে কালকিনি থানার ওসি তদন্ত মোঃ হারুন অর রশিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেন।
অভিযুক্ত নাজমা বেগম বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমাকে স্বর্না বিনা কারনে চর-থাপ্পর দিয়েছে। তাই তাকে তার পরিবারের লোকজন আমার কাছে ক্ষমা চাইতে বলে। এ ক্ষমা চাইতে বলায় লজ্জায় স্বর্না আত্নহত্যা করেছে।
গৃহবধু স্বর্ণার পিতা মোঃ কাঞ্চন হাওলাদার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে স্বর্ণাকে আমার ভাইয়ের স্ত্রী নামজা বেগম কারনে অকারনে নির্যাতন করতেন। আর সে নির্যাতন সইতে না পেরে স্বর্ণা আমরা ঘরে না থাকার সুযোগে আত্মহত্যা করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি (তদন্ত) হারুন অর রশিদ বলেন, চাচীর সাথে ঝগড়া করে স্বর্না আত্নহত্যা করেছে। আমরা তার লাশ উদ্ধার করেছি। তবে পরিবার মামলা দিলে তা নেয়া হবে।