আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় কোরবানি জন্য বিভিন্ন খামার এবং প্রান্তিক পর্যায়ে মোট ৬,৮৮৯ টি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৪,৫২৫ টি এবং ছাগল ২,২৫০ টি।
জান গেছে, উপজেলায় খামারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েও অনেকে লাভবান হওয়ার আশায় পশু লালন-পালন মোনযোগী হয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোরবানি হাটে ভালো দাম পাওয়ার প্রত্যাশায় খামারি ও চাষিরা পশুগুলোর প্রতি বিশেষ যত্ন নিচ্ছেন। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে তারা নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। গৃহপালিত ও খামারে পালন করা পশুগুলোর পরিচর্যায় প্রতিযোগিতার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে।
ইতিমধ্যে অনেক খামারি ও চাষি পশু বিক্রি শুরু করলেও বেশিরভাগই শেষ মুহূর্তের হাটে ভালো দাম পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করছেন। একজন খামারি জানান, “প্রথম দিকে পশুর দাম কিছুটা কম থাকে, শেষের দিকে সাধারণত ভালো দাম পাওয়ার যায়”।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জান গেছে, এ বছর কাশিয়ানীতে আনুমানিক ১৩,৫০০ পরিবার কোরবানি দিতে পারে। তাদের জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৬,১৪০ টি। পর্যাপ্ত প্রস্তুত পশুর সংখ্যা হওয়ায় চাহিদা মিটিয়ে কিছু পশু অতিরিক্ত থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শুভঙ্কর দত্ত বলেন, ” খামারি ও প্রান্তিক পর্যায়ে আমরা নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি এবার চাহিদা পূরণ শেষে কীছু পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। ভবিষ্যতে আরও পশু উৎপাদনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি”।
তিনি আরও জানান, বর্তমান উপজেলায় ১,১৪২টি দুগ্ধ খামার, ৮৪৮ টি মোটা জাত করণ খামার এবং ৭৯৬ টি ছাগলের খামারে নিয়মিত পশু পালন চলছে।