রপুর জেরলার পীরগঞ্জ উপজেলার মানাসীর বিল খাস কালেকশন বাতিল ও লীজ দেয়ার ঘটনায় এবং পীরোত্তর সম্পত্তি বিক্রি ও জবরদখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
যে কোনো দূর্ঘটনা এড়াতে গত শনিবার রাতে উপজেলার ১৫নং কাবিলপুর ইউনিয়নের নিজ কাবিলপুর নয়া বাজারে স্থানীয় জনগণের ডাকে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই এলাকায় পুলিশ, জনতা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যেকোনো মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে।
সূত্রে প্রকাশ,উপজেলার ১৫নং কাবিলপুর ইউনিয়নের জলমহাল মানাসীর বিলের ২ একর জমি কাবিলপুর গ্রামের জাইদুল ইসলামকে ৯৯ বছরের জন্য লীজ দেয়। এরপরও পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নির্দেশে গত ২৩ ডিসেম্বর খাস কালেকশনের জন্য কাবিলপুরের বাবলু আকন্দকে আগামী পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত বিলটি থেকে মাছ আহরণের জন্য লীজ দিলে বিলে ৪ লাখ টাকার পোনা মাছ ছাড়া হয়। এ খবর জানতে পেরে ৯৯ বছরের লীজ গ্রহীতা জাইদুল ইসলাম বিল থেকে মাছ ধরার বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। শনিবার খাস কালেকশন গ্রহীতা বাবলু বিলে মাছ ধরতে গেলে পুলিশ তাকে বাঁধা দিয়ে জাল আটক করে। এ নিয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে ঘিরে ফেললে পরিস্থিতি বেসামাল হয়। একপর্যায়ে পুলিশ বাবলুকে এবং জাল রেখে চলে যায়। পরে বিষয়ট নিয়ে শনিবার রাতে নিজ কাবিলপুর নয়া বাজারে স্থানীয় জনগণের ডাকে এক বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে বক্তব্য রাখেন,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম,মৎস্য জীবি বাবলু আকন্দ,মোজাহার আলী,ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপি নেতা মোজাহার আলী,হাবিল কাবিল মাজারের মতোয়াল্লী সোহরাব ফকির প্রমুখ। বক্তারা বলেন,প্রশাসনের গাফিলতি আর ভুলের কারনে আজ আমরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মুখে। বিষয়টি নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী।
জাইদুল ইসলাম পরিবারের লোকজন বলেন,আমরা বিলটি ৯৯ বছরের জন্য লীজ নিয়েছি। তারপরও প্রশাসন কেন এবং কিভাবে বিলটিতে খাস কালেকশন করতে দিলো,এখন তো পরিস্থিতি খুবই খারাপ। যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে।
অপরদিকে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম পহেলা জানুয়ারী ২০২৫ ইং মানাসীর বিল এর ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন,এ ঘটনাটি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদার) এর কারনে ঘটেছে এবং তহশীলদারদের কারণেই গ্রামবাসী মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
চতরা ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা বখতিয়ার হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি স্যারের নির্দেশ এ লিজ দেই এবং স্যারের আদেশে বিলের খাস কালেকশন কার্যক্রম বাতিল করেছি। তিনি আরও বলেন,৯৯ বছরের জন্য যে ব্যক্তিকে লিজ দেয়া হয়েছে এটা কতদূর সঠিক আমার জানা নেই। কাগজপত্র না দেখে আমি কিছুই বলতে পারছি না বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম জানান।।