Friday, April 18, 2025
HomeScrollingসীমান্তে ফেলানী হত্যার ১৪ বছর আজ বিগত আ’লীগ সরকারের কারণে বিচার পায়নি...

সীমান্তে ফেলানী হত্যার ১৪ বছর আজ বিগত আ’লীগ সরকারের কারণে বিচার পায়নি বলে অভিযোগ পরিবারের

মোঃ মশিউর রহমান বিপুল, কুড়িগ্রাম।।

আজ ৭ জানুয়ারি। সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার ১৪ বছর। ২০১১ সালর এই দিনে কুড়িগ্রামর ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ-র গুলিতে নির্মম হত্যাকান্ডর শিকার হয় ফেলানী। দীর্ঘ সাড় চার ঘণ্টা কাটাতার ঝুলে থাকে ফেলানীর মরদেহ। গণমাধ্যমসহ বিশ্বর মানবাধিকার সংগঠনগুলার তীব্র সমালাচনার মুখ পড়ে ভারত। পরে বিএসএফ এর বিশেষ কোর্ট দুই দফায় বিচারিক রায় খালাস দেয়া হয় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে। এ রায় প্রত্যাক্ষান কর ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন মাসুম এর সহযাগিতায় ভারতীয় সুপ্রিমকার্ট রীট আবদন কর ফলানীর পরিবার। এই হত্যা কান্ডর ১৪ বছরও সুষ্ঠু বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার। ফেলানীর বাবা-মায়র অভিযাগ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের কারণই ফলানির বিচার পাননি তারা। তবে নুতুন সরকারের নিকট আÍর্জাতিক আদালতর মাধ্যম সঠিক বিচার পাব বলে প্রত্যাশা করেন তারা।
কুড়িগ্রামর নাগশ্বরী উপজলার রামখানা ইউনিয়নর কলানীটারী গ্রামর দরিদ্র নূরুল ইসলাম পটর তাগিদ আর দশজনর মতা পারি জমান ভারত। পরিবার নিয় থাকতন ভারতর বঙ্গাইগঁাও এলাকায়। নূরুল ইসলামর বড় মেয়ে ফেলানীর বিয়ে ঠিক হয় বাংলাদশ। বিয়ের উদ্দশ নিজ দেশে আসতে ভারতের কাটাতার টপকে আসত হবে তাদের । ৭ জানুয়ারি শুক্রবার। ভোর ৬টা ফুলবাড়ির অনÍপুর সীমান্ত মই দিয়ে কাটাতার টপকায় ফেলানীর বাবা। পরে কাটাতার টপকানোর চেষ্টা করে ফেলানী। এসময় ভারতীয় বিএসএফ’র গুলিত বিদ্ধ হয় ফেলানী। গুলি বিদ্ধ হয়ে আধাঘণ্টা ধরে ছটফট করে কাটাতারই ঝুলÍন্ত অবস্হায় নির্মমভাব মত্যু হয় কিশারী ফেলানীর। এরপর সকাল পন ৭টা পযন্ত নিথর দেহ কাটাতারে ঝুলে থাকে দীর্ঘ সাড়ে ৪ঘণ্টা। এঘটনায় বিশ্বব্যাপী তোলপাড় শুরু হলে ২০১৩ সালর ১৩ আগষ্ট ভারতের কোচবিহার জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্ট ফেলানী হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। বিএসএফ এর এ কার্ট স্বাক্ষী দেন ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম ও মামা হানিফ। ওই বছরর ৬ সপ্টম্বর আসামী অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিএসএফ এর বিশেষ কোর্ট। পরে রায় প্রত্যাক্ষান কর পুনঃবিচারর দাবী জানায় ফলানীর বাবা। ২০১৪ সালর ২২ সপ্টম্বর পূনঃবিচার শুরু হল ১৭ নভম্বর আবারও আদালত স্বাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। ২০১৫ সালর ২ জুলাই এ আদালত পূণরায় আত্মস্বীকত আসামী অমিয় ঘাষক খালাস দেয়। রায়ের পর একই বছর ১৪ জুলাই ভারতর মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ফলানীর বাবার পক্ষ দেশটির সুপ্রীম কোর্ট রিট পিটিশন কর। ওই বছর ৬ অক্টাবর রিট শুনানী শুরু হয়। ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সাল কয়েক দফা শুনানী পিছিয়ে যায়। পরএ ২০২০ সালর ১৮ মার্চ করোনা শুরুর আগে শুনানীর দিন ধার্য হলও শুনানী হয়নি এখনও। এদিক মেয়ের হত্যাকারীর বিচার না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মা জাহানারা বগম।
ফলানীর বাবা নূরুল ইসলাম বলন, ফেলানী হত্যার ১৪ বছর হয় গেলো কিন্তু এখন পর্যনÍ বিচার পাই নাই। ভারতীয় সুপ্রিমকার্ট বিচারটা নিয়া গেলাম, কয়েকবার শুনানীর তারিখ দিলও তা পিছিয় গেছে । কয়কদিন আগে শুনলাম শুনানী হবে। তবে কবে হবে এর কোন তারিখ পাইনি। আমি মন করি আওয়ামী লীগ সরকারর কারণ ফেলানী হত্যার বিচার আটকে আছে। আমি আমার মেয়ে ফেলানী হত্যাকারীর বিচার মরার আগে দেখে যেতে চাই। একই কথা জানান ফলানীর মা জাহানারা বগম। তিনি জানান অনেকবার মেয়ে হত্যার দাবি জানিয়ছি। কিন্তু কোনো ফল পাইনি। শেখ হাসিনা সরকার ভারতের বিপক্ষ লড়তে চেষ্টা করনি। বর্তমান ইউনুছ সরকারর কাছে আÍর্জাতিক আদালতর মাধ্যম মেয়ে হত্যার বিচার প্রার্থনা করেন তিনি। স্ানীয়দর দাবি ফলানী হত্যার বিচার হলে কমবে সীমান্ত হত্যা। তাই দ্রুত এই বিচারটা করা দরকার।
কুড়িগ্রাম জজ কার্টর সাবেক পাবলিক প্রসিকউটর এ্যাড. এস এম আব্রাহাম লিংকন জানান, ভারতের মহামান্য সুপ্রিমকার্ট হত্যা মামলার রীট তালিকাভূক্ত রয়েছে। সেটি যত দ্রুত শুনানী হবে ততই মামলাটির অগ্রগতি হবে এবং ফেলানী হত্যার বিচার হলে বাংলাদশি নাগরিকদের পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকরাও সুরক্ষিত থাকবে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments