Tuesday, July 1, 2025
HomeScrollingগাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১৩

গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১৩

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধা।।

ইসলামী জলসায় অতিথি করা নিয়ে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় দলের অন্তত ১৩ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের সরদারপাড়া এলাকায় একটি ইসলামী জলসায় প্রধান অতিথি করা হয় গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে।আগামী ২৯ ডিসেম্বর ওই সভার তারিখ ঘোষণা করে পোস্টার করা হয়। পোস্টারে বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নামও অতিথি হিসেবে ছিল। বিএনপির স্থানীয় নেতাদের নাম থাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের প্রেক্ষিতে আগামী ২৬ ডিসেম্বর আরও একটি ইসলামী জলসার আয়োজন করে স্থানীয় জামায়াত সমর্থক আব্দুল আজিজসহ তার লোকজন। সেখানেও প্রধান অতিথি করা হয় গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে।

এই ইসলামী জলসার জন্য করা পোস্টারে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের নাম না থাকায় গত শুক্রবার বাক-বিতণ্ডা ও উত্তেজনা দেখা দেয় দু’দলের লোকজনের মাঝে। এরধারাবাহিকতায় একপর্যায়ে ২১ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে সাঘাটা বাজারে উভয়পক্ষের মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ তুলিপ, সাঘাটা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকিরুল ইসলাম, ঘুড়িদহ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান, বাবু মিয়াসহ বিএনপির অন্তত ছয়জন ও জামায়াতের সাতজন আহত হন।

জামায়াতের আহত কর্মীদের মধ্যে আব্দুল হান্নান ও জাহিদুল ইসলামসহ চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, বিএনপি কর্মীদের মধ্যে জাকিরুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপ সাংবাদিকদের জানান, আমরা শান্তি প্রিয়ভাবে বাজার অবস্থান করেছিলাম। হঠাৎ-ই তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা চালায়।

তবে সাঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির ইব্রাহিম হোসাইন ও সেক্রেটারি আব্দুল গফুরের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বাদশা আলম বলেন, দুই পক্ষেরই আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমরা তাদের শান্ত করেছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে টহল দিচ্ছেন।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments