মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরের মস্তফাপুরে জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চলছে এরকম অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী সাইফুল মৃধা। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগসহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মাদারীপুরে মামলা করা হয়েছে। মামলা চলমান অবস্থায় ১৪৪/১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে জমিতে ঘর উঠানোর চেষ্টা অব্যহত রাখার অভিযোগ উঠেছে তৌহিদ মৃধার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের জয়াইর গ্রামের শাজাহান মৃধার ছেলে সাইফুল মৃধা বিবাদী তৌহিদ মৃধাদের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে পারিবারিক সমস্যা চলমান রয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ভোগান্তির শিকার হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সাইফুল মৃধা।এক পর্যায়ে বিজ্ঞ আদালতে সাইফুল মৃধা বাদি হয়ে তৌহিদ মৃধা,আমির হোসেন মৃধা,সালেহা বেগম,হুমায়ন হাওলাদার,শাহিদা বেগমকে বিবাদি করে মামলা করে। মে মাসে করা মামলা নম্বর ৬৫১/২৪। আদালত নালিশি জমির উপর জুন মাসে ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করে। সেই মামলা এখনও চলমান রয়েছে। এর ভিতরে স্থানীয় কিছু লোকজনের সহযোগিতায় এই জমিতে বিবাদিরা ঘর তৈরি করার কাজ শুরু করে। বাদিপক্ষ জরুরি পরিসেবায় কথা বলে মাদারীপুর সদর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়ার কথা থাকলেও পুলিশ থাকা অবস্থায় কিছু সময় বন্ধ রেখে সেই কাজ পুলিশ চলে আসার পরে আবারও চলমান রয়েছে।
বিবাদি তৌহিদ মৃধার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা ৩৭ শতাংশ জমির মধ্যে তাদের ৪.৪৪ শতাংশ জমি রেখে তার পরে বাকি জমিতে কাজ করছি এখানেতো আমরা কোন অন্যায় করছি না। আমরা জোরপূর্বক কারো জমি দখল করছি না। আমরা আইন উপেক্ষা করে কোন কাজ করেনি।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী সাইফুল মৃধা বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ভোগান্তির শিকার হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি এরপর বাধ্য হয়ে এক পর্যায়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছি সেখান থেকে ইনজেকশন জারি করলে তারা কাজ বন্ধ রাখেনি। এমনকি পুলিশও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। এখন তারা জোর করে কাজ করে যাচ্ছে। আমি পুলিশকে বলেছি আপনারা না পারলে সেটার রিপোর্ট আদালতকে দেন। তারা কোন কথাই শুনছে না।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচ এম সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে এই অবস্থায় আমাদের কাছে খবর আসে যে আদালতের রায় অমান্য করে এক লোক জমিতে জোরপূর্বক কাজ করছে এ অবস্থায় পুলিশ ঘটনাস্তলে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলে এবং দুপক্ষের লোকজনদের থানায় আসার জন্য বলে আসে। কিন্তু দুপক্ষের কেউ থানায় না এসে এক পক্ষ জোরপূর্বক আবারো কাজ করছে বলে অভিযোগ পেয়েছি আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।