ইসলামে আজানের জবাব দেওয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মৌখিকভাবে আজানের জবাব দেওয়া সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা আজান শুনবে, তদুত্তরে মুয়াজ্জিনের অনুরূপ তোমরাও বলবে।’ (বুখারি: ৬১১)
তবে মনে রাখতে হবে, আজানের প্রায়োগিক জবাবই বাস্তবসম্মত জবাব। এটি জরুরি। প্রায়োগিক জবাব কী? এটি হলো নামাজের প্রস্তুতি নেওয়া। এটি সব মুসলমানের জন্য জরুরি। কেননা নামাজ যেমন ফরজ, নামাজের প্রস্তুতি নেওয়াও ফরজ।
আর দ্বিতীয় প্রকার তথা মৌখিক জবাব দেওয়া যদিও ফরজ-ওয়াজিব নয়, তবে তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। তাই আজানের সময় সাধারণ দ্বীন ও দুনিয়াবি কথা ও কাজে লিপ্ত থাকা অনুচিত।
ওয়াজ বা কোনো দ্বীনি মাহফিল চলাকালীনও তা সাময়িক বন্ধ রেখে সবারই আজানের জবাব দেওয়া উত্তম। এমনকি কোরআন তেলাওয়াতকারী সাময়িক তেলাওয়াত বন্ধ রেখে আজানের জবাব দেওয়া উত্তম।
কথিত আছে, আজানের মৌখিক উত্তর না দিলে বেঈমান হয়ে যায় কিংবা বেঈমান অবস্থায় মারা যাওয়ার ভয় আছে—এরূপ কোনো বর্ণনা হাদিসের কিতাবগুলোতে নেই, অতএব তা একেবারেই ভুল। (ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া: ৫/৪৩০)