গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ভূমি অফিসের এক কর্মচারীকে তার চাহিদা মতো মোটা অংকের ঘুষের টাকা না দেয়ায় হলো না জমির নামজারী..!
জানা গেছে,গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ৫নং মহদীপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মৃত শশী মোহন দাসের ছেলে কমল চন্দ্র রায় গাইবান্ধা বিজ্ঞ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ ট্রাইব্যুনাল আদালতে ১৯৪/২০১৩ নং একটি মামলা করেন। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর তাদের পক্ষে রায় আসে এবং মামলার বাদী কমল চন্দ্র রায় মৃত্যু বরন করেন।
গাইবান্ধা বিজ্ঞ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ ট্রাইব্যুনাল আদেশ ও আপীল ট্রাইব্যুনাল আদালতের ১৯৪/২০১৩ নং মামলায় গত ৩০/১২/২০১৮ ইং তারিখে আদেশ ও আপীল ট্রাইব্যুনাল আদালতের ০৩/২০১৯ নং মামলায় গত ১৯/০৭/২০২৩ ইং তারিখে আদেশ মোতাবেক অর্পিত সম্পত্তি হতে অবমুক্তির জন্য বাদী কোমল চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী পরিমল চন্দ্র সরকার দিং গত ১৮/০১/২০২৪ ইং তারিখে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবরে একখানা আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখিত সম্পত্তির সরকারি স্বত্ব ও স্বার্থ বিবেচনায় রেখে বর্ণিত মামলার রায়ের আলোকে বিধি মোতাবেক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশবাড়ী বরাবরে প্রেরণ করা যেতে পারে।
তফসীল বর্ণিত জমিঃ মৌজাঃ দুর্গাপুর,৫নং মহদীপুর ইউপি,থানা পলাশবাড়ী,জেলা গাইবান্ধা,জেএল নং-৮৫,সিএস খতিয়ান নং-১৩১,এসএ খতিয়ান নং-১১১,দাগ নং-২০৪৬,জমি-৮ শতাংশ,সিএস খতিয়ান নং-৬৪৫,এসএ খতিয়ান নং-৫৬৫,জমি-৪৪ শতাংশ,মোট জমি ৫২ শতাংশ যার বাবদ বিআরএস খতিয়ান নং-১/১,সাবেক দাগ নং-২০৪৬,নতুন দাগ নং-২০৪৫,জমি-৮ শতাংশ, সাবেক দাগ নং-২০৪০, নতুন দাগ নং-২০৬০,জমি ১১শতাংশ,নতুন দাগ নং- ২০৬২,জমি ২২ শতাংশ একুনে ৩৩ শতাংশ মিলে সর্বমোট ৫২ শতাংশ জমি বাবদ নামজারীর প্রার্থনা।
এদিকে,নামজারী করতে হলে পলাশবাড়ী ভূমি অফিস থেকে একটি আবেদন পাঠতে হবে গাইবান্ধায়। আর উক্ত নামজারীর আবেদন পাঠানোর জন্য বাদী মৃত কমল চন্দ্র রায়ের ছেলেরা পলাশবাড়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে যোগাযোগ করেন। আর এ ভূমি অফিসের (সদ্য বদলী হওয়া) ক্রেডিট চেকিং ও সায়রাত সহকারী রাশেদ সুলতান বাদীর ছেলে পরিতোষ চন্দ্র রায়ের নিকট ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিলে তিনি নামজারীর জন্য আবেদন পাঠাবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন। রাশেদ সুলতান এ ঘুষের টাকা না পাওয়ায় নামজারীর আবেদন পাঠলেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানান দরিদ্র ভুক্তভোগী পরিতোষ চন্দ্র রায়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত রাশেদ সুলতান কিন্তু তিনি ভিডিওতে কোনো মন্তব্য দিতে রাজী হননি।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিমল ও পরিতোষ চন্দ্র রায় গং-রা অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজ ওই ভূমি কর্মচারী সহ জড়িত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।।