পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিন মামলায় ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসব দণ্ড দেওয়া হয় তাকে। এসব কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ইমরান খান। খবর জুরিস্ট।
গতকাল শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইমরান খানের আইনজীবী লতিফ খোসা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
২০২৩ সালের আগস্টে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে অভিযুক্ত করা হয়। ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, রাষ্ট্রীয় কোষাগার তোশাখানায় থাকা উপহার নিয়ে সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন ইমরান খান। এরপর জানুয়ারিতে এই তোশাখানা মামলায় তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এরপর গোপন তারবার্তা ফাঁসের (সাইফার) মামলায় ইমরানকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলায় অভিযোগ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাছ থেকে পাঠানো সরকারি গোপন নথি ফাঁস করেছেন ইমরান। এর মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছেন তিনি।
এই দুই মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই বর্তমান স্ত্রী বুশরা বিবিরি সঙ্গে অনৈসলামিক বিয়ের অভিযোগ তুলে ইমরান ও তার স্ত্রীকে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০২২ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। এরপর তার বিরুদ্ধে একে একে শতাধিক মামলা হয়। সেনাসদর দফতরে হামলাসহ ২০২৩ সালের ৯ মের সহিংসতার ঘটনায় তাকে কমপক্ষে ১২টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
২০২৩ সালের মে মাসে গ্রেফতারের পর তিনি নাটকীয়ভাবে মুক্তি পান। পরে একই বছর ৫ আগস্ট গ্রেফতার হন। ইমরান খানের প্রথমবার গ্রেফতার হওয়ার প্রতিবাদে পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল বিভিন্ন ভবন ও গাড়িতে। এমনকি তার সমর্থকরা সামরিক বাহিনীর স্থাপনাতেও হামলা চালিয়ে ছিল। সবশেষ গত বছরের ৫ আগস্ট গ্রেফতার হলে তেমন সহিংসতা হয়নি। ইমরান খানের বিরুদ্ধে বর্তমানে আরও ১৫০টির বেশি মামলা চলমান রয়েছে।