দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারই বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন ফেরদৌস। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে নিয়েছেন শপথ। কবে থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চিন্তা মাথায় এসেছিল তা এবার জানালেন সে কথা।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফেরদৌস বলেন, আমার কাছে রাজনীতি আবেগের জায়গা। রাজনীতিবিদ হওয়া মানে হলো, রাজার নীতি—যিনি নীতিনির্ধারক হবেন। আমি কিন্তু নীতিনির্ধারক হতে আসিনি। আমি এখানে এসেছি মানুষকে ভালোবাসার স্বার্থে, মানুষের সঙ্গে থাকতে। আমার কাছে মনে হয়েছে, নীতিনির্ধারক হওয়াটা কঠিন ব্যাপার, সময়সাপেক্ষ একটা ব্যাপার। কিন্তু মানুষের কাছে গিয়ে মানুষকে ভালোবাসা, বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করা, সেবক হওয়া, জনস্বার্থে কাজ করা, মানুষের কল্যাণে কাজ করার বিষয়গুলো আমার মধ্যে পারিবারিকভাবেই আছে।
এরপর তিনি বলেন, আমি কিছু নীতিতে বিশ্বাসী। আমার দ্বারা কারও কোনো ক্ষতি হোক, এটা কোনোদিন চাইনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখন কাজ শুরু করলাম, ২০০৮ সাল থেকে বিচ্ছিন্নভাবে করতাম। ২০১৫ সাল থেকে গুরুত্ব দিয়ে করা শুরু করলাম। আমার শ্বশুরও দুইবারের সংসদ সদস্য ছিলেন; আওয়ামী লীগের। শ্বশুরকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, ভালো মানুষ, গণমানুষের নেতা।আমার তখন মনে হয়েছিল, এবার যদি আমাকে দায়িত্ব দেন, আমি নেব। কিন্তু সাহস করে বলিনি।
ফেরদৌস আরও বলেন, তারপর ফারুক (চিত্রনায়ক ফারুক) ভাইকে যখন দিলেন, তখন সাহসটা বাড়ল। এরপর শূন্য আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলাম। মনে হলো চাই। মনে হয়েছিল, ফারুক ভাই ছিলেন, আমাদের কেউ একজন হলে ভালো হয়। কিন্তু সেখানে আরাফাত এলেন। ভালো। আমি আরাফাতের জন্য প্রচারণা করলাম। কাজ করলাম।
সবশেষে অভিনেতা থেকে নেতা হওয়া এ তারকা বলেন, এবার গিয়ে মনে হলো যে এবার চাইব। সবকিছুরই আসলে একটা সঠিক সময় দরকার। এবারই সেই সঠিক সময় মনে হয়েছে। সে কারণেই হয়তো এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ আসনটা দিয়েছেন। ঐতিহাসিক আসন।
কয়েক বছর ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ফেরদৌস। দলের কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল তার। গত উপ-নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল তাকে মূল্যায়ন করে ঢাকা-১০ আসনের নৌকার মাঝি হিসেবে।