চলতি বছরটি রেকর্ড ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হতে যাচ্ছে। নভেম্বর টানা ষষ্ঠবারের মতো রেকর্ড ভাঙা উষ্ণতম মাস হওয়ার পর ইউরোপীয় জলবায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থা বুধবার এ কথা জানিয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘও এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
ইউরোপীয় জলবায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থা দুবাইয়ে চলমান কপ-২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে চাপ সৃষ্টি করছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০১৬ সালের উষ্ণতম বছরের রেকর্ডকে অতিক্রম করতে পারে এ বছরের উষ্ণতা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পরিবর্তন পরিষেবা অনুসারে, এবারের বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ২০১৯ সালের অক্টোবরের তাপমাত্রাকেও অতিক্রম করেছে। সেবারের তুলনায় এবারের তাপমাত্রা ০.৪ সেন্টিগ্রেড বেড়েছে।
কার্বন নির্গমন এবং ‘এল নিনো’র ঘটনার কারণে চলতি বছরের অক্টোবর ছিলো রেকর্ড উষ্ণতার সারিতে পঞ্চম মাস। অক্টোবর মাসের তাপমাত্রা এই বছরের বৈশ্বিক তাপের রেকর্ডের তালিকায় যুক্ত হয়েছে, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই যা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ বছরের জুলাই এতটাই উষ্ণ ছিল যে এটি এক লাখ ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ মাস হতে পারে এটি।
কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস এর মতে, অক্টোবর মাস সেপ্টেম্বরের মতো অস্বাভাবিকভাবে গরম ছিল না, কিন্তু তার পরও রেকর্ড ভেঙেছে। মাসটি জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর সময়ের হিসেব করলে সেই সময়ের চেয়ে ১.৭ ডিগ্রি বেশি উষ্ণ ছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ উষ্ণতা অনুভব করা হয়েছে তাতে বলা যায় ২০১৬ সালকে হারিয়ে উষ্ণতম বছর হবে ২০২৩।
তাপমাত্রা বিষয়ক ডাটা অ্যনালাইসিস প্রতিষ্ঠান বার্কলে আর্থের জলবায়ু বিজ্ঞানী জেকে হাউসফাদার বলেছেন, আমরা সত্যিই কোনও লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না যে এই বছরের রেকর্ডকে ব্রেক করতে পারে। সব ডাটা নিশ্চিত করে যে, ২০২৩ সবচেয়ে উষ্ণ বছর।