সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবারের নির্বাচনে জোট-মহাজোট নয়, নিজস্ব দলীয় প্রতীকে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের কোনো সমঝোতা হলে সেটা ‘মনে মনে’ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চুন্নু এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘সমঝোতার মতো কিছু হলে তা মনে মনে হতে পারে। সেটি আলাদা করে বলার কিছু নেই।’
আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে বলেও জানান চুন্নু। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যেহেতু বড় দল, আমরা তাদের সাথে আজ সন্ধ্যার পর কথা বলবো। আজকের সন্ধ্যার বৈঠকে চেয়ারম্যান যাবেন না, কো-চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব যাবেন। প্লেস ঠিক হয়নি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব জানান, তারা এবার লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে এখনই কথা বলা যাবে না জানিয়ে চুন্নু বলেন, ১৮ ডিসেম্বরের পর পরিস্থিতি বোঝা যাবে।
২০০৮ সালে প্রথমবার জাতীয় পার্টিসহ মহাজোট নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সেই নির্বাচনে ব্যাপক সফলতা পায় দলটি। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট বর্জন করায় জাতীয় পার্টি জোটে ছিল না। তবে তখন ৩৪টি আসনে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। সেসব আসনেই জয় পায় জাতীয় পার্টি। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসনে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। তবে দলটি জয় পায় ২৩টিতে।
এবার আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে ২৯৮ আসনে এবং জাতীয় পার্টি ২৮৭ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টিকে কিছু আসনে ক্ষমতাসীন দল ছাড় দেবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ঢাকার দুটি আসনে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। আসন দুটি হলো ঢাকা-৪ ও ঢাকা-৬। অবশ্য বর্তমানে আসন দুটি জাতীয় পার্টির দখলেই রয়েছে।