ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময়ের সব শর্ত মানলে তারাও সেটি মানবে। সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া এমন কথা জানিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতায় সবকিছু করতে প্রস্তুত হামাস।
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেন, ইসরায়েল যত দিন যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় মেনে চলবে হামাসও তত দিন তা অনুসরণ করবে। খবর আল আরাবিয়ার
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দোহায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে এক বৈঠকে যুদ্ধবিরতিকে রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে অভিহিত করেন ইসমাইল হানিয়া। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ হানিয়াকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ফিলিস্তিনের শত্রুরা নারী, শিশু ও অন্য বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে এবং তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করেছে। তারপরও তারা লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানানোয় লেবানন, ইয়েমেন, ইরাক ও সিরিয়ার পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন হামাসপ্রধান। ইরানের নেতৃত্ব, প্রেসিডেন্ট, সরকার এবং ইরানের জনগণের দৃঢ় সমর্থনের জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ইসমাইল হানিয়া।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দেশটির স্থানীয় সময় রাত ১১ টার দিকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। হামাসের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, তারা ১৩ ইসরায়েলি বন্দী এবং সাতজন বিদেশি নাগরিককে আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এছাড়াও বন্দীদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কাতারি মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘১৩ ইসরায়েলি ও বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিক এখন গাজায় ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রসের (আইসিআরসি) সঙ্গে রয়েছেন।’
যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ২৫ জনকে মুক্তি দেয় হামাস। আর ইসরায়েল মুক্তি দেয় ৩৯ ফিলিস্তিনিকে।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের গত ৭ অক্টোবরের আকস্মিক হামলায় ১৪০০ জন নিহত হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েল। তবে সম্প্রতি সেই সংখ্যা কমিয়ে ১২০০ করা হয়েছে। এছাড়া হামাস ইসরায়েল থেকে ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় নেতানিয়াহু প্রশাসন।
এরপর থেকে গাজায় ও পশ্চিম তীরে নির্বিচারে হামলা করছে ইসরায়েল। গাজার আবাসিক এলাকা, স্কুল, হাসপাতাল, জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার গুদাম, খাবারের দোকানসহ কোনো কিছুই হামলা থেকে বাদ যায়নি। এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬০০টিরও বেশি শিশু। নিহত বাকিদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী