গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামাসে হামলার জবাবে ওইদিন থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহত ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
গত এক মাসে ইসরায়েলি হামলায় গাজাতে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯ হাজার ৭শত এর উপরে। যাদের মধ্যে প্রায় ৪ হাজারই শিশু।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার ভয়াবহতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বহু দেশ। কিন্তু যুদ্ধ বিরতি দিতে নারাজ ইসরায়েল। এমনকি গাজাতে যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও।
ইসরায়েলসহ পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা গাজায় যুদ্ধ বিরতিতে একমাত্র লাভবান হবে হামাস। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও বহু পশ্চিমা দেশের সরকার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠনটিকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে বিবেচনা করে।
তাই এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি নয়, বরং মানবিক বিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। আর আরব দেশগুলোসহ অন্যান্য অনেক দেশ যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির এবং মানবিক বিরতির মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে?
বিবিসির তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতির সাথে মানবিক বিরতির বেশ কয়েক জায়গায় পার্থক্য রয়েছে৷ তা আলোচনা করা হল।
আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির তুলনায় মানবিক বিরতি অল্প সময়ের জন্য হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সেই সময়কাল মাত্র কয়েক ঘন্টার। আবার মানবিক বিরতি সকল যুদ্ধাঞ্চলের প্রযোজ্য হয় না। বরং এটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কার্যকর হয়৷
জাতিসংঘের মতে, মানবিক বিরতির লক্ষ্য শুধুই মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োগ করা হয়। তাই এটি খুব অল্প সময়ের হয়ে থাকে।
অন্যদিকে জাতিসংঘের মতে, যুদ্ধবিরতি তুলনামূলক দীর্ঘমেয়াদী হয়। যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে প্রায়শই স্থায়ী রাজনৈতিক মীমাংসারও সম্ভাবনা থাকে। আর সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বিবাদমান দলগুলোর মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়৷
এদিকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন লাখ লাখ মানুষ। তাদের সবার দাবি গাজায় গণহত্যা বন্ধ হোক এবং যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হোক।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।