বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধে নাশকতা কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চোরাগোপ্তা হামলা ঠেকাতে ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ-র্যাব-বিজিবি। আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করছেন। এই তিনদিন তারা উন্নয়ন স্থাপনাসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন।
২৯ অক্টোবর হরতাল পালনের পর একদিন বিরতি দিয়ে বিএনপি-জামায়াতসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তিনদিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সড়ক-মহাসড়ক ছাড়াও নৌ ও রেলপথও অবরোধেও আওতায় রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান চোখে পড়েছে। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এছাড়া ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকেও মাঠে দেখা গেছে।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ থেকে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে একজন পুলিশ সদস্য নিহত এবং ৪১ পুলিশ সদস্য আহত হন। এমন পরিস্থিতি মাথায় রেখে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে।
গতকাল সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, অবরোধে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব। দেশব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব ফোর্সেসের ১৫ ব্যাটালিয়নের তিন শতাধিক টহল দল নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি কার্যক্রম চলবে। কেউ যদি কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা সহিংসতার পরিকল্পনা করে তাকে সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে। নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক দেশব্যাপী নিয়োজিত থাকবে র্যাব।