গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এসএস ফিলিং স্টেশনের চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এক ডাকাত। তার নাম মোঃ হাসান(২৪)।
ডাকাত হাসান, ফরিদপুর জেলাধীন বোয়ালমারী উপজেলার মোহনপুর গ্রামের মোঃ জাহিদুল ইসলামের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর ২০২৩ইং) বিকেলে গোপালগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই ডাকাত নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
গোপালগঞ্জ সিআইডির উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সবুজুল ইসলাম জানান, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলাধীন পোনা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পাশে এসএস ফিলিং স্টেশনে গত ৩রা জুলাই ২০২২ইং তারিখে রাত আনুমানিক ১টা ৪০ মিনিটের সময় ৭/৮জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে চেরাই শাবল দিয়ে দুটি কাঠের ক্যাশবাক্স ও একটি স্টীলের ক্যাবিনেট ভেঙ্গে প্রায় ৮লক্ষ টাকা এবং সিসি ফুটেজ সংরক্ষিত একটি ডিভিয়ার মেশিন নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এসএস ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ ০৫ জুলাই ২০২২ইং তারিখে কাশিয়ানী থানায় মামলা নং-০৩ দায়ের করে এবং গোপালগঞ্জ সিআইডি ২২ নভেম্বর ২০২২ইং তারিখে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সবুজুল ইসলাম গোপালগঞ্জ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এর দিকনির্দেশনায় উক্ত মাললার ০৪(চার) জন আসামিকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেন।
ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ০৪জনের মধ্যে ০৩জন বিজ্ঞ আদালতে অস্বীকার করলেও তাদেরকে টিআই প্যারেড করালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভিকটিমগন বিজ্ঞ আদালতের উপস্থিতিতে তাদেরকে সনাক্ত করেন এবং আসামি মোঃ হাসান(২৪) আদালতে ফৌ. কা. বিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। প্রথমে ডাকাত হাসান নিজের অপরাধ স্বীকার করে আদালতকে জানায় যে, ডাকাতিতে তারা অংশ নিয়েছিল ৭ জন।
গোপালগঞ্জ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গত ক’এক মাসের মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার কুখ্যাত অপরাধিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অন্যান্য মামলার তদন্ত করা হচ্ছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের জন্যও অভিযান চলছে।
LN24BD