Monday, May 20, 2024
HomeScrollingমসজিদের ফ্যান বন্ধ করায় বৃদ্ধ মুসল্লীকে মারধর..অতঃপর..

মসজিদের ফ্যান বন্ধ করায় বৃদ্ধ মুসল্লীকে মারধর..অতঃপর..

আমিরুল ইসলাম কবির, গাইবান্ধা।।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৫নং মহদীপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে নামাজের পর ফ্যান বন্ধ করার কারনে মুসল্লী আঃ রাজ্জাক (৬২) কে মারধর ও দাড়ি মোবারক ছিড়ে ফেললো প্রভাবশালী শহিদুল ইসলাম (৫৫)..! এলাকায় উত্তেজনা। অবশেষে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ভুল স্বীকার করে সকল মুসল্লীদের সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করলে শান্তিপূর্ণ ফয়সালা।

সরেজমিনে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে প্রকাশ, পলাশবাড়ী উপজেলার ৫নং মহদীপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. আঃ রাজ্জাক (৬২) গত সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ওই গ্রামের জামে মসজিদ এ জোহরের নামাজ আদায় করছিলেন। নামাজ শেষে তিনি মসজিদের বৈদ্যুতিক পাখা / ফ্যান গুলোর সুইস বন্ধ করে দেন। এসময় ওই মসজিদ সংলগ্ন বাড়ির অপর মুসল্লী শহিদুল ইসলাম (৫৫) নামাজ শেষে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে আরাম করছিলেন তবে সেই ফ্যানটি চালু ছিলো এবং সেটা বন্ধ করেননি মুসল্লী আঃ রাজ্জাক। তবে অন্য ফ্যানগুলো কেনো বন্ধ করা হলো এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে মসজিদ সংলগ্ন বাড়ির মুসল্লী প্রভাবশালী শহিদুল বৃদ্ধ মুসল্লী আঃ রাজ্জাক (৬২) কে অহেতুক মারধর ও স্যান্ডেল পেটা করে দাড়ি মোবারক ছিড়ে ফেলে আর শহিদুলের বাবা সনজল মিয়া ভুক্তভোগীকে কোমর জাপটে ধরে রাখে বলে অভিযোগ করেন আঃ রাজ্জাক।

বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রভাবশালী শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে ঔদ্ধত্যপুর্ণ আচরণ করে মুখ খুলতে রাজি হননি।

অবশেষে শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর জুম্মার নামাজ শেষে সকল মুসল্লীদের সামনে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম তার ভুল স্বীকার করেন। তিনি সকল মুসল্লীদের সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং এ ধরণের কাজ আর কখনোই হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিলে ঘটনার শান্তিপূর্ণ ফয়সালা করা হয়।।

LN24BD

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments