মোঃ মশিউর রহমান বিপুল, কুড়িগ্রাম।।
চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল উদ্বোধনের দিন চিলমারী বন্দরে এক সুধি সমাবেশে ফেরির ভাড়া কমানোর দাবি উঠে।
সুধি সমাবেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ফেরি পারা পারের ভাড়া কমানোর দাবি তুলেন।
পরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু হচ্ছে। আজকে বিআইডব্লিউটিসির ‘কুঞ্জলতা’ ফেরি দিয়ে চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
“এখানে ভাড়া কমানোর একটা দাবি রেখেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। আমি সর্বসাধারণের সুবিধার জন্য কর্মকতর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তাবিত ভাড়া থেকে কমিয়ে সিএনজি চালিত বেবী ট্যাক্সি/অটোরিক্সা ৬৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা, মটর সাইকেল ২২০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা, বাই সাইকেল ১২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা, জনসাধারণের জন্য প্রস্তাবিত ৮০ টাকা কমিয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে।”
তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধা ও এম্বোলেন্স এর কোন ভাড়া লাগবে না।
এ ছাড়া অন্যান্য যানের ক্ষেত্রে ভাড়া শতকরা পনের ভাগ কমানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
সুধি সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আজ থেকে ফেরি চলালের কারণে ব্রম্মপুত্র নদ বিধৌত রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলার মানুষদের জেলা শহরে যাতায়াতে ভোগান্তি কমে আসবে। চিলমারী-রৌমারী রাজিবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সাথে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে, যাতায়াত খরচও কমে যাবে। পরবর্তিতে আরো একটি ফেরি এ রুটে যুক্ত হবে। উক্ত ফেরি রুটের নাব্যতা বজায় রাখার জন্য দু’টি ড্রেজার থাকবে। ফেরি সার্ভিস চলাচলের মধ্য দিয়ে নদী পথে যোগ হলো যোগাযোগের নতুন মাত্রা।
“ব্রহ্মপুত্র নদ জেলার রৌমারী-রাজীবপুর এ দুই উপজেলাকে আলাদা করে রেখেছে। এ দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষকে জেলা শহরে যাতায়াত করতে একমাত্র নৌকার ওপর ভরসা করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে অনেক ঝুঁকি নিয়ে তারা জেলা শহরে আসেন নৌপথে। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে চরাঞ্চলে আটকে যায় নৌকা। ফলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না তাদের। ফেরি চলাচল করলে কমে আসবে ভোগান্তি।”বিকেলে রৌমারী নৌকা ঘাটে অনুরুপ একই সুধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিআই ডাব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে এক সুধি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, অতিরিক্ত সচিব বিআইডব্লিও টিসির চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এ সময় বক্তব্য রাখেন।