রাজধানীতে দ্রুততম সময়ে চলাচলের জন্য নির্মিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথম দিনে প্রথম ১০ ঘণ্টায় নির্ধারিত টোল দিয়ে ১০ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করেছে। যা থেকে টোল আদায় হয়েছে আট লাখের বেশি টাকা।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার ঢাকা মেইলকে এই তথ্য জানান।
এই কর্মকর্তা জানান, সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী মোট গাড়ির ৯০ শতাংশের বেশি প্রাইভেট কার। মোট গাড়ি চলাচল করেছে ১০ হাজার ৮৫৪টি। এসব গাড়ি থেকে টোল আদায় হয়েছে আট লাখ ৮৩ হাজার ৫২৯ টাকা।
যানজটে নাকাল রাজধানীবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিতে রাজধানীতে নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। রোববার ভোর থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় উড়াল সড়কটি।
তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ের কোথাও কোনো যানবাহন দাঁড়াতে পারবে না এবং যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে না। পথচারীরা উঠতে ও চলাচল করতে পারবেন না। অবশ্য ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কেউ কেউ গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলেছেন এমন ঘটনাও ঘটেছে প্রথম দিন।
কাওলা থেকে বনানী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর ও মানিকনগর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত উড়াল সড়ক হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি)। পুরো উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। সাড়ে ১১ কিলোমিটার পাড়ি দিতে ১২ মিনিট লাগবে বলে সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
তবে এখন বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই পথে আসতে যেসব জায়গায় ওঠানামার সুযোগ আছে সেগুলো সব রোববার থেকেই চালু হয়েছে।
যারা ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোড অথবা শাহবাগ, সেগুনবাগিচা ও পুরান ঢাকা থেকে এসে উড়াল সড়কে উঠতে চান, তাদের যেতে হবে বিজয় সরণি ওভারপাস অথবা তেজগাঁও এলাকায়।
বিজয় সরণি হয়ে র্যাংগস ভবন ভেঙে যে ওভারপাসটি তৈরি হয়েছে, সেটিতে উঠে তেজগাঁওয়ে যাওয়ার আগেই উড়াল সড়কের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। তেজগাঁও থেকে বিজয় সরণির দিকে আসতে ওভারপাসে আরেকটি সংযোগ রয়েছে ওঠার জন্য।
রাজধানীর দক্ষিণ, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বাংশের মানুষের জন্য উড়াল সড়কে ওঠার এ পথই সহজ। তবে যারা বনানী যেতে পারবেন, তারা বনানী রেলস্টেশনের সামনে দিয়ে উড়াল সড়কে উঠতে পারবেন।
উত্তর দিক থেকে এসে নামার জন্য সহজ পথ ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেটগামী যানবাহনের ইন্দিরা রোডে নামাই সুবিধাজনক।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম দিনে যাত্রীবাহী বাস তেমন একটা চলতে দেখা যায়নি। ট্রাকও কম চলেছে। কাভার্ড ভ্যান দু-একটা চলেছে। বেশির ভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি। এর মধ্যে অনেকেই শখের বশে দেখার জন্য উড়াল সড়কে টোল দিয়ে পাড়ি দিয়েছেন।