চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে রেলপথ। কক্সবাজার সদরে ঝিনুকের আদলে তৈরি হচ্ছে দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন। এতে কাজ করছে বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। উদ্বোধনের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে তা নির্দিষ্ট সময়েই সম্পূর্ণ করতে দিন-রাত কাজ চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৯ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা রেলস্টেশন ভবনটি ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭ বর্গফুটের। আশা করা যায় ২০২৩ সালের মধ্যেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে সরাসরি কক্সবাজারে আসবে স্বপ্নের রেল। ঝিনুকাকৃতির আইকনিক ভবন ঘিরে মানুষের রয়েছে বিপুল আগ্রহ। ১০০ কিলোমিটারের নির্মাণাধীন রেলপথের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন।
এতে বলা হয়, যেখানে থাকছে তারকামানের হোটেল, শপিংমল, রেস্তোরাঁ, শিশুযত্নকেন্দ্র, লকার বা লাগেজ রাখার স্থান। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে নেমে পর্যটকেরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রেখে সারাদিন সমুদ্রসৈকত বা দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরতে পারবেন নিজ গন্তব্যে।
ছয়তলা আইকনিক স্টেশন ভবনের মূল কাঠামোর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। প্ল্যাটফর্ম ও পদচারী-সেতুর কাজও শেষ পর্যায়ে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যাতে আইকনিক রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয়, সে লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ চলছে। স্টেশন ভবনের পশ্চিম পাশে একসঙ্গে চলছে পাঁচতলা ২০টি ভবনের নির্মাণকাজ।
ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের জিএম ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. আহমেদ সূফী বলেন, ছয়তলা রেলস্টেশনের মূল ভবনটির কাজ শেষ। ভবনের চার দিকের গ্লাস ফিটিংস, ছাদের ওপর স্টিলের ক্যানোপির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পাশাপাশি ভবনের দরজা, ফিটিংস, টাইলস, স্যানিটারি, বিদ্যুতের লাইন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। উদ্বোধনের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে তা আমরা নির্দিষ্ট সময়েই সম্পূর্ণ করতে পারব, ইনশাআল্লাহ। নির্মাণকাজের মান ঠিক রেখেই আমরা সব কাজ করেছি। দেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটা আমাদের জন্য গর্বের।
রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সম্প্রতি চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। তিনি কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
সে সময় রেলমন্ত্রী বলেন, সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আরামদায়ক হিসেবে রেলকে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে দোহাজারী থেকে কক্সবাজারে সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। আমাদের সকলের জন্য গর্বের একটা বিষয় কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং। এরকম অনন্য স্থাপনা অন্য কোথাও নেই। কক্সবাজারে ট্রেনে করে আসার জন্য সারাদেশের মানুষ ভীষণ আগ্রহী হয়ে আছে। সেপ্টেম্বরে উদ্বোধনের জন্য সার্বিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।