Thursday, May 9, 2024
HomeScrollingতিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

অনলাইন ডেস্ক।।

উজানের পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বর্ষণে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নীলফামারী ও লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিটার ৫০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে সকাল ৬টা ও ৯টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি ৬ সেন্টিমিটার কমে ১৩ সেন্টিমিটার ওপরে ও দুপুর ৩টায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শুকিয়ে যাওয়া মৃত প্রায় তিস্তা আবারো ফুলে ফেঁপে উঠে ফিরে পেয়েছে চিরচেনা রূপ। হেঁটে পাড়ি দেওয়া তিস্তায় চলতে শুরু করেছে নৌকা। হাঁকডাক বেড়েছে মাঝিদের। কর্মব্যস্থতা দেখা দিয়েছে তিস্তাপাড়ের জেলে পরিবারে।

অপরদিকে পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানির শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদি পশুপাখির খাবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।

ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছাতুনামা কেল্লাপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, তিস্তার পানি দুইদিন ধরে বাড়তে শুরু করেছে। এতে আমাদের বাড়িঘরে পানি ঢুকে খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি।

একই ইউনিয়নের ছোটখাতা চরের বাসিন্দা সুখতারা বেগম বলেন, গতকাল রাতে প্রচণ্ড গতিতে পানির প্রবাহ বেড়ে যায়। নদীতে শোঁ শোঁ শব্দ তৈরি হয়েছে। ঘরে পানি উঠেছে, পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে আছি আমরা। রান্নাও বসাতে পারিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশ দিয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করেছি। বন্যা মোকাবিলায় আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করছি।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুরের দিকে কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করেছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments