Monday, May 20, 2024
HomeScrollingচট্টগ্রামে করোনায় চিকিৎসকসহ ৩ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনায় চিকিৎসকসহ ৩ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকসহ আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন এক ব্যবসায়ী। দীর্ঘ ১০ দিন যাবত করোনার সাথে লড়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় মারা যান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) হাসপাতালের ইমার্জেন্সি অফিসার ডা. মুহিদ হাসান।

তিনি চমেক হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এনিয়ে দুই দিনে করোনায় দুজন চিকিৎসকের মৃত্যু হলো।

ডা. মুহিদ হাসানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী জানান, বেলা ১১টায় আইসিইউতে মৃত্যুবরণ করেছেন মুহিত হাসান। ঈদের আগে তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হন। পরে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় দুই চিকিৎসক মারা গেছেন। বুধবার চমেক হাসপাতালে মারা যান ডা এহসানুল করিম। চট্টগ্রামে ৭৩ জন চিকিৎসক করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ২০ জন।

এদিকে সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে আরও দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব জানান, হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন করোনা পজিটিভ দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে একজন নগররীর পাঁচলাইশ এলাকার ও অন্যজন জামালখান এলাকার বাসিন্দা। তাদের দুইজনেরই উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস ছিল। এদের মধ্যে একজন গত ২৯ মে এবং অন্যজন ২ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন।

এর আগে চট্টগ্রামে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন এক ব্যবসায়ী। নগরীর টেরিবাজার ফ্যাশন হাউজের মালিক ও টেরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা আবদুল মান্নান বুধবার দিবাগত রাত ১টায় নগরীর ঘাটফরহাদবেগস্থ বাসায় মারা যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মৃত আব্দুল মান্নানের ছোট ভাই মেগামার্ট এর মালিক আব্দুল হান্নান বলেন, ‘আমার ভাই শ্বাসকষ্ট ও সর্দি কাশিতে ভুগছিলেন। বুধবার তাকে নগরীর ডেল্টা হাসপাতাল ও পার্কভিউসহ কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করাতে পারিনি। সবাই বলেছে আগে করোনা টেস্ট করিয়ে আনেন। ফলে দিনভর চেষ্টা করেও হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পেরে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আজ সকালে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই রাত ১টার দিকে আমার বড় ভাই মারা যান।’

টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের সমিতির উপদেষ্টা আবদুল মান্নান ভাইকে চট্টগ্রামের কোনো হাসপাতাল ভর্তি করেনি। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments