তিনি বলেন, আমরা পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করি। আমাদের নেতা কর্মীরা নিজের টাকায় চাঁদা দিয়ে সমাবেশ করছে। আর আপনারা (আওয়ামী লীগ) কি করেন এটা সবাই জানে।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির অঙ্গ দলগুলোর সঙ্গে যৌথ সভা করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, দি ইজ ভেরি আনফরচুনেট। ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না। সামাল দিতে পারবেন না। কার কয়টা বাড়ি, কার কত টাকা আছে, এত টাকা কোথা থেকে আসে ….।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত আক্রমণে যেতে চাই না। এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।
গত ১৫ বছরে অর্থনীতিকে ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে দুর্ভিক্ষে পরিণত হয়েছে, এটা আমার কথা নয় প্রধানমন্ত্রীর কথা।
তিনি বলেন, রাজনীতির অধিকারের কোনো স্পেস নাই, সব নষ্ট করে দিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। জাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, নির্বাচনকালীন ৯০ দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে। এটাকে বাতিল করেছে আওয়ামী লীগ। এখন বলে তারা করেনি, আদালত করেছে। টিকে থাকার জন্য জনগণকে বোকা বানানে চায়।
তিনি বলেন, এত উন্নয়ন করেছেন তাহলে ভয় পান কেন? কারণ জনগণ জানে যে দুর্নীতি করেছেন ভোটে কোন দিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
গায়েবি মামলায় আওয়ামী লীগকে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি নেতা সরফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, সুলতানা রহমান, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, মুনায়েম মুন্না প্রমুখ।