Monday, April 29, 2024
HomeScrollingরিজার্ভের টাকা কীভাবে, পায়রা বন্দরে জানতে চান ফখরুল

রিজার্ভের টাকা কীভাবে, পায়রা বন্দরে জানতে চান ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক।।

রিজার্ভের টাকা কীভাবে পায়রা বন্দর স্থাপনে খরচ করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘সরকার শুধু রিজার্ভের টাকাই চিবিয়ে খাননি, গিলে ফেলেছেন। গোটা বাংলাদেশের সমস্ত অর্থনীতিকে আপনারা গিলে ফেলেছেন।’

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অপরিহার্য শীর্ষক’ এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে জানতে চাই পায়রা বন্দরের জন্য টাকা কীভাবে গেল, কোথা থেকে গেল? আমদানিকৃত মালামালের পেমেন্ট এবং ঋণ পরিশোধে রিজার্ভের অর্থ খরচ করা হয়। অথচ প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন পায়রা বন্দর করতে রিজার্ভের টাকা খরচ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা আওয়ামী লীগকে বিদায় করতে চাই। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। আমাদের পরিষ্কার কথা, সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তাদের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতে হবে। সেই ইসির অধীনে জনগণ তাদের ভোট প্রয়োগ করে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকার পদত্যাগ করছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না সংসদ বিলুপ্ত করছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এ দেশের মানুষ বসে থাকবে না। তারা লড়াই করবে সংগ্রাম করবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি করে এদেরকে পরাজিত করা হবে।’

তরুণদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা দেশের স্বাধীনতা অর্জন করে দিয়েছে। এখন আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ দানব থেকে দেশকে মুক্ত করবেন। দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন এবং মানুষের অধিকারগুলোকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন। আসুন আমরা গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের অধিকারকে ফিরিয়ে আনি।’

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা ও মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments