Tuesday, July 1, 2025
HomeScrolling'মিয়ানমার এই সমস্যা তৈরি করেছে তাই তাদেরকেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে:...

‘মিয়ানমার এই সমস্যা তৈরি করেছে তাই তাদেরকেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক।।

ব্রিটেন ওভারসিস টেরিটরি থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে মিয়ানমারে আড়াই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ব্রিটিশরা চায় না এ নিয়ে কথা হোক।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুরু থেকে ব্রিটিশরা আমাদের সাহায্য করছে। ইউএনএইচসিআরও করছে। কিন্তু সম্প্রতি আমি মর্মাহত হয়েছি। ব্রিটিশরা চায় না আমি এটা বলি, সেটা হলো ব্রিটিশ সরকার না তবে তাদের অনেকগুলো ওভারসিস টেরিটরি আছে, মিয়ানমার সরকারের তথ্য অনুযায়ী, সেসব টেরিটরি থেকে গত ৪-৫ বছরে সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে মিয়ানমারে।’

শুধুমাত্র ২০২০-২১ সালে, ১ বছরে বিনিয়োগ হয়েছে আড়াই বিলিয়ন ডলার। আমি বলেছি, গণহত্যার বিরুদ্ধে তোমরা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় আর তোমার দেশ থেকে বিনিয়োগ হয়েছে। তারা জবাবে বলেছে, তাদের দেশ থেকে নয়, ওভারসিস টেরিটোরি থেকে হয়েছে। তারা আরও বলেছে, এসব নিয়ে বেশি কথা না বলতে, যোগ করেন মোমেন।

এদিকে, চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমরা জাপানকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন আমাদের সাহায্য করে এই মামলার ব্যাপারে। তারা অনেক ঘর-বাড়ি বানিয়ে দিচ্ছে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গারা যেন ফেরত যেতে পারে। যেভাবে চীন মডারেটর হিসেবে কাজ করেছে, আমরা চেয়েছিলাম জাপানও আসুক কিন্তু তারা সেভাবে এখনো আসেনি। তবে তাদের আগ্রহ আছে। মিয়ানমারেও তাদের আগ্রহ আছে। মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খুব ভালো, বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার এই সমস্যা তৈরি করেছে তাই তাদেরকেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যাবাসনই আসল সমাধান। এর বিকল্প কিছু নেই। এটা মিয়ানমারকে করতে হবে। মিয়ানমারের বন্ধু দেশকেও আমরা তাই বলি, এতে তাদের লাভ। কারণ এই লোকগুলো অনেক দিন এখানে থাকলে, এরাতো হতাশাগ্রস্ত লোক, স্টেটলেস লোক। এরা খুব সহজেই বিভিন্ন রকম এক্সট্রিমিজমে পা দিতে পারে। কোনো কোয়ার্টার তো আছেই এদের বিভিন্নভাবে প্ররোচনা দেয়। সুতরাং এর তাড়াতাড়ি সমাধান দরকার। আমরা দ্রুত এর স্থায়ী সমাধান চাই।’

জনশক্তি রপ্তানিতে লিবিয়ার সঙ্গে শিগগিরই সমঝোতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঝে লিবিয়ার শ্রম বাজার বন্ধ ছিল। আমরা এটা ওপেন করে দিয়েছি। এখন বৈধ পথে যাচ্ছে। আমরা শিগগির সমঝোতা সই করব।’

 

 

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments