Tuesday, July 1, 2025
HomeScrollingথাইল্যান্ডে শিশু ডে-কেয়ার সেন্টারে হামলা, নিহত ৩৪

থাইল্যান্ডে শিশু ডে-কেয়ার সেন্টারে হামলা, নিহত ৩৪

অনলাইন ডেস্ক।।

থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নোং বুয়া লাম ফু প্রদেশের উথাই সাওয়ান শহরে একটি প্রি-স্কুলের শিশু ডেকেয়ার সেন্টারে বন্দুক হামলায় ৩৪ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২২টি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্করা রয়েছেন। হামলাটি চালিয়েছে দেশটির পুলিশের এক সাবেক কর্মকর্তা। আত্মহত্যা করার আগে নিজের স্ত্রী এবং সন্তানকেও গুলি করে হত্যা করেছেন হামলাকারী। খবর রয়টার্সের।

হামলাকারী শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হামলা চালায়। হামলার পর সে নিজেকেও গুলি করে আত্মহত্যা করেছে বলেছে জানিয়েছে থাইল্যান্ডের গণমাধ্যম।

তবে হামলার উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। থাইল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে সম্প্রতি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

থাইল্যান্ডে এমন হামলার ঘটনা খুব কমই ঘটে। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালে নাখোন রাতচাসিমা শহরে সেনাবাহিনীর এক সদস্য ২৯ জনকে হত্যা করেছিল এবং আরও ৫৭ জনকে আহত করেছিল।

মাদক সংক্রান্ত একটি ঘটনার কারণে হামলাকারী ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে কিছুদিন আগে চাকরিচ্যুত করা হয়। দুপুরের খাবারের সময় বন্দুকধারী যখন ডে কেয়ার সেন্টারটিতে পৌঁছান, তখন সেখানে প্রায় ৩০ জন শিশু ছিল।

হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তা প্রথমে ডে কেয়ার সেন্টারটির চার থেকে পাঁচজন কর্মীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। তাদের মধ্যে একজন নারী শিক্ষক আছেন; যিনি ৮ মাসের অন্তঃস্বত্তা। জিদাপা বুনসুম বলেন, প্রথমে লোকজন আতশবাজির শব্দ ভেবেছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে রক্তাক্ত ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের কান্নাকাটি করতে দেখা গেছে। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দেশটির একটি টেলিভিশন চ্যানেলের একজন প্রতিনিধি শিশু ডে কেয়ার সেন্টারে কতজন শিশু ছিল বলে ঘটনাস্থলে থাকা এক নারীর কাছে জানতে চান। এ সময় ওই নারী বলেছেন, ‘৩০ জন…। তবে তাদের মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে গেছে।’

হামলার এই ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ বলে অভিহিত করে হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান-ওচা। নিজের ফেসবুক পেজে ওচা লিখেছেন, আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য তিনি সব সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments