আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন।
শুক্রবার মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন অফিস আয়োজিত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক দলের মধ্যে ভিন্ন মত আছে। ইভিএম মেশিনে কোনো ত্রুটি আছে কিনা সে বিষয়ে জুন মাসের মধ্যে বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যদের দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ওপর ভিত্তি করে ইভিএম বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি একমত না হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার পরেও বিতর্ক হতে পারে। আমরা যাই করি, সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে করবো। কেননা, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করা।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা নির্বাচন অফিসার শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রশাসক গোলাম মহীউদ্দীন, জজকোর্টের পিপি আব্দুস সালামসহ সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহৃত হয়েছে। এসব নির্বাচনে কোনো বিতর্ক হয়নি। কোনো অভিযোগ আসেনি। সুষ্ঠুভাবে এসব নির্বাচন হয়েছে। আমাদের ১০০ থেকে ১১০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সক্ষমতা রয়েছে। আগামী নির্বাচনের আগে আরও কিছু ইভিএম যন্ত্র আনার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, কোন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বা করবে না-এটা নির্ভর করে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলের ওপর। কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়। নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো-একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। আগামী সংসদ নির্বাচনটিকে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।