বঙ্গাব্দ ১৪২৯ কে বরণ করে নেওয়ার দিন আজ। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে রমনার বটমূলে ছায়ানটে শুরু হয় বর্ষবরণের আয়োজন।
এবার ৮৫ জন শিল্পীর পরিবেশনায় বৈশাখী আয়োজন সাজিয়েছে ছায়ানট। গান ও আবৃত্তিসহ তাতে ছিল মোট ৩৭টি পরিবেশনা।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। দুই বছর পর উৎসবের এই দিনে কাক ডাকা ভোরে দলবেঁধে মানুষ ছুটেছে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে।
, শিশুর মুখে আনন্দের ঝিলিক আর বর্ণিল পোশাকে, কপোলে আঁকা আলপনা, শোভাযাত্রার মুখোশে সেজেছে নারী-পুরুষ।
এবারের শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে, ‘নির্মল করো, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে।’
শোভাযাত্রা সকাল ৯টার পর শুরু হয় টিএসসি থেকে, এবার শাহবাগের দিকে না এসে যাবে নীলক্ষেতের দিকে। তার আগে উপাচার্য ভবন চত্বর ঘুরে টিএসসিতে ফিরে শেষ হবে এই কর্মসূচি।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বকুলতলায় সংগীত বিভাগের আয়োজনে বৈশাখের কোনো আয়োজন এবার থাকছে না। ধানমণ্ডিতে রবীন্দ্র সরোবরে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে বৈশাখ বরণের আয়োজনও এবার হবে না।
তবে রাজধানীতে বাংলা একাডেমি, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন, নজরুল একাডেমী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের বর্ষবরণের আয়োজন থাকছে।
রমজানের মাস হওয়ায় এবার সব ধরনের আয়োজন দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
শোভাযাত্রাকে ঘিরে গতকাল বুধবার রাত থেকেই টিএসসিসহ পুরো ক্যাম্পাস এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। মোতায়েন আছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।
করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়নি। ২০২১ সালে হয়েছে সীমিত পরিসরে, যেখানে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল না। দুই বছর পর এবার অনেকটা চেনা রূপে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন হচ্ছে।