Saturday, July 5, 2025
HomeScrollingগ্রেপ্তার আশীষকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ

গ্রেপ্তার আশীষকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক |

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতলকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাকে ১৭ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জাকির হোসেন সোমবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সাদিয়া আফরিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাদিয়া আফরিন বলেন, সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার প্রধান আসামি আশীষ। তিনি সম্প্রতি অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে। আশীষকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) জারি করা হয়েছে।

আশীষকে গত ৫ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। এই মামলায় ৭ এপ্রিল তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাকে কারাগারে আটক রাখার জন্য পুলিশ আদালতে আবেদন করে। অন্যদিকে তার পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আশীষকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ১ নম্বর আসামি আশীষ। তিনি একাধিক বেসরকারি এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন পদে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি জিএমজি এয়ারলাইনসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ছিলেন।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন।

সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ডিবি। ২০০১ সালে ৩০ নভেম্বর এই মামলায় অভিযোগপত্র গঠন করা হয়। পরে মামলাটি বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল খারিজ (ডিসচার্জ) করেন। আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রায় দেন। গত ২৮ মার্চ এই মামলার পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারিক আদালত।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments