Monday, April 29, 2024
HomeScrollingকাঞ্চন-নিপুণদের নোটিশ পাঠালেন জায়েদ খান

কাঞ্চন-নিপুণদের নোটিশ পাঠালেন জায়েদ খান

নিজস্ব প্রতিবেদক…

গত ২৬ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বে এফডিসিতে অবস্থিত তাদের স্টাডি রুমে এক মিটিং করে। সে মিটিংকে অবৈধ উল্লেখ করে তাতে উপস্থিত ইলিয়াস কাঞ্চনসহ ১১ জনকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন জায়েদ খান। জায়েদের পক্ষে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন তার আইনজীবী তানভীর হোসেন খান। নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, নিপুণ আক্তার, সহসাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মামনুন ইমন, কোষাধ্যক্ষ আজাদ খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অঞ্জনা, কেয়া, জেসমিন আক্তার, অমিত হাসান ও নাদের খান।

নোটিশে বলা হয়, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস ও সরকারি সাধারণ ছুটির দিনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মিটিং আয়োজন করা হয়েছে কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে এবং তা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পুরোপুরি লঙ্ঘন।

সকল নোটিশ গ্রহীতাকে অনুরোধ জানানো হয়, ২৬ মার্চের মিটিংয়ের কার্যবিরণী বাতিল করার। একই সঙ্গে নিপুণকে যাতে আর কোনো মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ না দেওয়া হয় গত ১৪ মার্চ আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশ অনুযায়ী।

একই সঙ্গে জানানো হয়, নোটিশ গ্রহীতাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে এ ধরনের কার্যক্রম কেন করা হয়েছে, তার লিখিত জবাব দিতে। অন্যথায় আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে।

জায়েদ খান নোটিশটির ব্যাপারে দেশ রূপান্তরকে বলেন, আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছি সব সময়। অন্যদিকে তারা একের পর এক আদালত অবমাননা করেই যাচ্ছে। নিপুণ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যে মিটিং করেছে তা আদালতের রায়ের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই নোটিশ পাঠিয়েছি।

অন্যদিকে এ নোটিশের ব্যাপারে সাইমন বলেন, নিপুণ আপু আমাদের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের অনুমতিক্রমে মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। আর উকিল নোটিশের কথা শুনেছি। এ নিয়ে চিন্তা করছি না। আদালতের কোনো নোটিশ আসলে তখন অবশ্যই বিবেচনা করবো।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকে কে দায়িত্ব পালন করবেন, তা নিয়ে বিবাদ চলছে প্রায় দুই মাস ধরে। গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পান চিত্রনায়ক জায়েদ খান। পরদিন আরেক প্রার্থী নিপুণ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে আবেদন করলে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে আপিল বোর্ড। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় চিত্রনায়িকা নিপুণকে এই পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।

আপিল বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রিট দায়ের করেন করেন জায়েদ খান। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। একই সঙ্গে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। পরে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলে হাইকোর্টের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করা হয়। পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি নিপুণ লিভ টু আপিল দায়ের করেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে চেম্বার আদালতের জারি করা স্থিতাবস্থা বহাল রাখেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের জারি করা স্থগিতাদেশও বহাল রাখা হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে জারি করা রুল হাইকোর্টকে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের ওই রুলের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে ২ মার্চ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। পরদিন ৩ মার্চ হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নিপুণ আক্তার।

এই আবেদনের শুনানি ৬ মার্চ জায়েদ খানকে বহাল রাখতে হাইকোর্টের রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণ আক্তারকে নিয়মিত আপিল দায়ের করতে বলেন চেম্বার আদালত। আগামী ৪ এপ্রিল এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments