সোমবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন ঘোষণা করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী সশরীরে কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মার্চ মাস আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের মাস, অনেক ত্যাগের মাস। আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালাতে পারলাম। এটাই সবচেয়ে বড় কথা, আমরা আলোকিত করতে পেরেছি প্রতিটি ঘর।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা একটা কথা বলতেন যে, ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। কারও কাছে হাত পেতে না, নিজের পায়ে দাঁড়ানো। নিজের ক্ষুধার অন্ন নিজেরা উৎপাদন করব।
‘কত স্বপ্ন ছিল, কত আকাঙ্ক্ষা ছিল। সেভাবে তিনি পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। পল্লী বিদ্যুতায়নকে কত গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিল আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ২০২২ সাল। এই দীর্ঘ সময় সরকারে থাকতে পেরেছি, সে জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। ভোট দিয়ে আমাদেরকে তারা নির্বাচিত করেছেন। এই ১৩ বছর একটানা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অব্যাহত রয়েছে। এর মাঝে ঝড়-ঝঞ্ঝা অনেক এসেছে, বাধা অনেক এসেছে। কিন্তু সে বাধা আমরা অতিক্রম করছি।’
সরকার প্রধান আরও বলেন, ‘ওয়াদা করেছিলাম, প্রতিটি মানুষের ঘর আলোকিত করব, প্রতিটি মানুষ আলোকিত হবে। আলোর পথে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। আজকের দিনটা সেই আলোর পথে যাত্রা শুরু যে সফল হয়েছে, সেই দিন। আপনাদের সবাইকে সে জন্য ধন্যবাদ জানাই।’