প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১-এ বিএনপি ক্ষমতায় এলো সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাংলাভাই, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, সারা বাংলাদেশে গ্রেনেড হামলা- এই সব নানা কারণে দেখা গেল সেখানে কী অবস্থা ছিল, দেখেন তখন কী অবস্থা মানুষের, আতঙ্কে মানুষ। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না। বলতে গেলে ১ অক্টোবর থেকে যে অত্যাচার শুরু হলো। যেভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী মানুষকে অত্যাচার করেছে সেভাবে ধর্ষণ করা, মানুষকে হত্যা করা। সেখানে কেউ সাহস করে মামলা করবে? একমাত্র পূর্ণিমা সাহস করে মামলা করেছিল বলে এলাকা থেকে চলে যেতে হলো। প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা করে মানুষ মারা হলো। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কেউ তো বাদ যায়নি বিএনপির অত্যাচারের হাত থেকে। তাদের এই সব অপকর্মের ফলে কী অবস্থা দাঁড়ালো? তারপরে দুর্নীতি। বাংলাদেশ পাঁচ, পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। যার ফলে ইমার্জেন্সি এলো।
সোমবার (৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, অত্যাচারিত আমি হলাম বেশি। প্রথমবার তো আমাকেই গ্রেফতার করা হলো। তারপর ২০০৮ এ নির্বাচনে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিল। কেন ভোট দিল? ৯৬ থেকে ২০০১ সালে অন্ততপক্ষে জনগণ এটুকু পেয়েছিল যে, সরকার মানে জনগণের সেবক। কিছু হলেও উন্নতি হয় দেশের, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।
সরকার প্রধান বলেন, ২০০৮-এ আমরা ঘোষণা দিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ। তখনো কত ব্যঙ্গ করা হলো এই কথা নিয়ে। আজকে কি ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়নি? বরং আমাদের এখানে তো আরও চমৎকার সিস্টেম। আমি তো আমেরিকাতেও এ রকম ভিডিও কনফারেন্সিং করলাম। আমি তো দেখি সেখানে থেকে আমাদের এখানে অনেক সুন্দর ব্যবস্থা। আমি তো একসঙ্গে সারা বাংলাদেশে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে পারি। করোনা যখন হয়েছে তখন আমি সেটা করেছি প্রত্যেকটা জেলায় জেলায়।
তিনি বলেন, তাদেরকে (বিএনপি) ভোট দেবে কেন এই প্রশ্নটা করেন না। জনগণ ভোট দিচ্ছে না বা ভোট দিতে পারছে না এই প্রশ্নগুলো যখন আপনারা করেন। আপনার কে আছে এর বাইরে? কাকে দেবে? কার কাছ থেকে মানুষ এ পর্যন্ত কী পেয়েছে? পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। পঁচাত্তর থেকে ৯৬, আর ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ধরেন মানুষ কী পেয়েছে? সেই তুলনাটা করেন আপনারা। তারপরও বিবেচনা করেন। আমার কাছে তো আর ক্ষমতাটা ভোগের বস্তুও না, শুধু ক্ষমতা পাওয়ার জন্য ক্ষমতা না।