Monday, May 20, 2024
HomeScrollingভারত ও যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে যে আহবান জানালো

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে যে আহবান জানালো

অনলাইন ডেস্ক।।

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে মানবাধিকার, নারীর অধিকার ও সংখ্যালঘুর অধিকার রক্ষা এবং আফগানিস্তানের মাটি সন্ত্রাসবাদের জন্য ব্যবহার না করার বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে। খবর: টাইমস অফ ইন্ডিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে চলমান কোয়াড সম্মেলনে এই আহবান জানিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ বা চতুর্পাক্ষিক নিরাপত্তা সংলাপ (যা QSD, যা Quad বা QUAD নামেও পরিচিত) হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি কৌশলগত সংলাপ, যা সদস্য দেশগুললোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তালেবানদের অবশ্যই ইউএনএসসি রেজোল্যুশন ২৫৯৩ (২০২১) মেনে চলতে হবে। যেখানে বলা হয়েছে, আফগান ভূখণ্ড আর কখনোই কোনো দেশকে হুমকি বা আক্রমণ করতে বা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় বা প্রশিক্ষণের জন্য অথবা সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা বা অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। এতে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

এছাড়া এই দুই নেতা আফগানিস্তানে জাতিসংঘ, তার বিশেষ সংস্থা এবং বাস্তবায়নকারী অংশীদারদের জন্য সম্পূর্ণ, নিরাপদ, প্রত্যক্ষ এবং বাধাহীন প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষদের অধিকার সহ মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমে নিয়োজিত সকল মানবিক কর্মীদেরও আফগানিস্তানে প্রবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, তারা সব আফগানদের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় এবং যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

তালেবানরা গত মাসে আফগানিস্তান জুড়ে দখল করে, ১ মে থেকে শুরু হওয়া মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পটভূমিতে প্রায় সব প্রধান শহর ও শহরের নিয়ন্ত্রণ দখল করে। ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল বিদ্রোহীদের হাতে চলে যায়।

কিন্তু সবার অংশগ্রহণে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও, তালেবানরা তাদের নতুন মন্ত্রিসভায় নারীদের অন্তর্ভুক্ত করেনি। তালেবানের মন্ত্রিসভাযর বেশিরভাগ সদস্যই জাতিগতভাবে পশতুন। আর তালেবানের বেশিরভাগ সদস্যও এসেছে পশতুন জনগোষ্ঠী থেকেই। কর্ম ও শিক্ষাসহ নারীর অধিকার এবং স্বাধীনতার ওপরও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকজন ‘সন্ত্রাসবাদী’ও রয়েছে। তালেবান সরকার এখনো কোনো দেশের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়নি।

গত ১ মে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার শুরু করলে তালেবানরা আফগানিস্তান দখল করে নিতে শুরু করে এবং গত ১৫ আগস্টের মধ্যে রাজধানী কাবুল সহ সব প্রধান শহর ও নগরের নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেয়। এরপর শুধু পাঞ্জশির প্রদেশটি বাকী ছিল। সেটিও চলতি মাসের শুরুর দিকেই তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments