আগাম নির্বাচনে কানাডার জনগণ উদারপন্থী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ফের ক্ষমতায় এনেছে। সোমবার নতুন রক্ষণশীল নেতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে জয় পেয়েছেন উদারপন্থী ট্রুডো। কিন্তু টেলিভিশন নেটওয়ার্কের অনুমান অনুযায়ী তিনি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ট্রুডো গত মাসে হঠাৎ করেই নির্বাচন আহ্বান করেন। তিনি আশা করেছিলেন যে, জনগণকে সফলভাবে কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়ার জন্য তাকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেবে। এবং তিনি বিরোধীদের সমর্থন ছাড়াই মহামারী থেকে বের হয়ে আসার জন্য তার এজেন্ডা পাস করতে পারবেন।
কানাডায় ৭৩ দশমিক চার শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের মধ্যে কানাডা এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে সফল একটি দেশ।
কিন্তু ব্যাপক প্রচারণার পাঁচ সপ্তাহ পরে, তার কণ্ঠস্বর অস্পষ্ট ছিল এবং তিনি ২০১৯ সালের নির্বাচনের মতোই ফলাফলের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন। গত নির্বাচনে কানাডার রাজনীতির এককালের সোনার ছেলে কোনো মতে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। কিন্তু সংসদে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।
ছয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর তার প্রশাসনেও ক্লান্তির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এবং কানাডার জনগণকে তার উদারপন্থীদের সঙ্গে থাকার জন্য রাজি করানো তার জন্য একটি চরম লড়াই ছিল। ২০১৫ সালে বিশাল জয়ের পরে তাদের মধ্যে যে উচ্চ প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল তাতে ধস নেমেছে।
২০১৫ সালে কানাডার সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন ট্রুডো বিশাল জয় পেয়েছিলেন দেশ থেকে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। চার বছর পর ২০১৯ সালে ফের জয় পেলেও তার দলের আসনসংখ্যা অনেক কমে যায়। ২০০১ সালে ইউনিভার্সিটি পার্টিতে তোলা কিছু ছবি সেসময় সামনে আসার ফলে আধুনিক, বৈষম্য না করা নেতা হিসেবে তার ভাবমূর্তি ধাক্কা খায়।