২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলায় নিহতদের স্মরণ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। তার আগে এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশবাসীকে ‘ঐক্যবদ্ধ’ থাকার আহ্বান জানালেন।
বিবিসি জানায়, হামলার ২০ বছর পূর্তি প্রাক্কালে এক ভিডিও বার্তায় নিহত ২ হাজার ৯৭৭ জনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বাইডেন।
একই সঙ্গে হামলায় পর জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন সেই সব জরুরি উদ্ধারকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
শনিবার ৯/১১-এর ভুক্তভোগীদের স্মরণ বিশেষ করা হয়েছে সরকারিভাবে।
বাইডেন বলেন, যতই সময় যাক না কেন, স্মৃতিচারণ সব ব্যথাকে ফিরিয়ে আনে, যেন কিছু সময় আগে সংবাদটি পেয়েছি।
এ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসরত মুসলিমরা রোষের শিকার হন। একে তিনি ‘আমেরিকান মুসলমানদের বিরুদ্ধে মানব প্রকৃতি অন্ধকার দিক- ভয় ও রাগ, অসন্তোষ ও সহিংসতা’ বলে উল্লেখ করেন। সঙ্গে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ‘সবচেয়ে বড় শক্তি’ ঐক্য রয়ে গেছে।
বাইডেন বলেন, আমরা শিখেছি ঐক্য এমন একটা জিনিস যা কখনো ভাঙা যায় না।
১১ সেপ্টেম্বরের হামলায় ৬৭ জন ব্রিটিশ নাগরিক মারা যান। তাদের স্মরণ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এ হামলা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ওপর রাখা বিশ্বাস টলাতে পারেনি।
হামলার দায় স্বীকার করেছিল সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-কায়দা। আফগানিস্তানে এর পরিকল্পনা হয়। পরিকল্পনা অনুসারে, চার আত্মঘাতী হামলাকারী যাত্রীবাহী জেট বিমান ছিনতাই করে। এর মধ্যে দুটি আঘাত হানে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারে।
একটি বিমান বিধ্বস্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির অদূরে পেন্টাগনে। অন্যটি যাত্রীদের প্রতিরোধের মুখে পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে বিধ্বস্ত হয়।
শনিবার তিনটি হামলার স্থান পরিদর্শন করবেন বাইডেন, সঙ্গে থাকবেন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
২০০১ সালের ওই আক্রমণের সূত্র ধরে আফগানিস্তানে হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র। ৯/১১ এর ২০ বছর পূর্তির মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকতে এশিয়ার দেশটি থেকে সরে গেছে মার্কিন সেনারা। এই যুদ্ধে লাখ লাখ আফগান মারা গেছে, নিহত হয়েছে ২৩২৫ জন আমেরিকান সেনা।