ব্যাপক হতাহতের শিকার হওয়া সত্ত্বেও, হুথিরা গত ফেব্রুয়ারি থেকেই তেল সমৃদ্ধ মারিব শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে আসছে।
ইয়েমেনের সেনা কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, তারা সর্বশেষ হামলা প্রতিরোধে সফল হয়েছেন।
হুথিরা শনিবার থেকেই মারিবের দিকে এগোচ্ছিল। গত দুই ঘণ্টার বিরতিহীন লড়াইয়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর জেট বিমান দিয়ে ৪১ বারেরও বেশি পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে হুথিদের দমানো সম্ভব হয়েছে।
ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর সামরিক গণমাধ্যমের পরিচালক ইয়াহিয়া আল-হাতেমি আরব নিউজকে বলেন, গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক যুদ্ধ ছিল এটি। ইয়েমেনের সেনাবাহিনী সমস্ত আক্রমণ প্রতিহত করেছে।
তিনি বলেন, বুধবার জোট বাহিনীর যুদ্ধবিমান হুথিদের বহনকারী ছয়টি গাড়ি ধ্বংস করেছে। বিমান হামলায় প্রায় ১৪০ জনেরও বেশি হুথি নিহত হয়েছে।
সরকারপন্থীরা টুইটারে নিহত হুথিদের ছবি শেয়ার দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
অন্যদিকে, গত কয়েকদিনের যুদ্ধে সরকারি বাহিনীর অন্তত ২২ সদস্য নিহত হয়েছেন।
ইয়েমেনের রাষ্ট্রপ্রধান আবদে রাব্বুহু মনসুর হাদি, ইয়েমেনের নিরাপত্তা অক্ষুন্ন রাখতে ইরান সমর্থিত এই বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি ২০১২ সালের প্রথম দিকে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে হুথিদের উন্নত অস্ত্র, সামরিক শক্তি এবং তহবিল সরবরাহ করা সহ ইয়েমেনের অভ্যন্তরীন বিষয়ে ইরানের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।