খেলোয়াড়দের সঙ্গে নতুন করে কেন্দ্রীয় চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আগের কৌশল থেকে সরে এসে এবার তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা আলাদা চুক্তি হয়েছে ক্রিকেটারদের সঙ্গে। এই চুক্তির মেয়াদ থাকবে চলতি বছরের মে থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। চুক্তিতে থাকা ২৪ ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করলেও কে কত টাকা বেতন পাবেন সেটি নির্দিষ্ট করেনি বিসিবি। আজ (বৃহস্পতিবার) এই বিষয়ে কিছুটা আভাস দিয়েছেন আকরাম খান।
সংবাদমাধ্যমকে আকরাম বলেন, ‘সাধারণত আমরা ১৬-১৭ জন রাখি কিন্তু এবার কোভিড পরিস্থিতির কারণে আমরা খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করছি। খেলোয়াড়রা যদি ভালো খেলে তাহলে অর্থনৈতিকভাবে আরও সহযোগিতা পাবে। আমরা তিনটি ফরম্যাটেই করেছি। যে বেশি ফরম্যাটে খেলবে সে বেশি টাকা পাবে। এই সুযোগটা আমরা তাদের দিয়েছি। যতগুলো ক্যাটাগরি আছে সেখানে আমরা ১৫-৩৫ শতাংশ বাড়িয়েছি।
আগের কেন্দ্রীয় চুক্তি ছিল লাল বল ও সাদা বলে। যেখানে চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড় ছিলেন ১৭ জন। এবার সংখ্যাটা ৭ জন বাড়িয়েছে বিসিবি। সঙ্গে করোনাভাইরাসে মধ্যে যেখানে অন্যান্য বোর্ডগুলো খেলোয়াড়দের বেতন কাটার পথে হেঁটেছে, সেখান উল্টো বেতন বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ১৫-৩৫ শতাংশ বেতন বাড়ছে সাকিব আল হাসান, মুশফির রহিমদের।
এবার চুক্তি করা হয়েছে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে। আকরাম দিলেন তার ব্যাখ্যা, ‘একটা আছে এ প্লাস, যারা বেশি টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে তাদেরকে আমরা এ প্লাস ক্যাটাগরিতে রেখেছি। তারপর এ আছে, বি আছে সি আছে। এটা মূলত ম্যাচের উপর, যে যত বেশি ম্যাচ খেলে সেতো স্বাভাবিকভাবেই পারফর্ম করে খেলছে।’
সঙ্গে যোগ করেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের এই চেয়ারপার্সন, ‘আমরা ম্যাচের উপর একটা পয়েন্ট ধরে রাখি। যে বেশি খেলেছে তাদের এ প্লাস ধরেছি। যারা নতুন এসেছে তাদের আমরা ইন করেছি জাস্ট রুকি হিসেবে। এভাবেই আমরা করেছি।’
তাহলে কোন ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা কত বেতন পাচ্ছেন? আকরাম জানলেন, তিন ফরম্যাটেই আছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে যারা অভিজ্ঞ, তাদের মাসিক বেতন দাঁড়াবে ৮ লাখ টাকার ওপরে। যেখানে এ+ ক্যাটাগরিতে থাকা সাকিব-মুশফিক ৮ লাখের উপরে পেলেও তাসকিন, শরিফুল, লিটনরা সেটি পাচ্ছেন না।
আকরামের ভাষায়, ‘এখনো মনে করেন…অবশ্যই ৮ লাখের বেশি পাবে (এ প্লাস ক্যাটাগরি)। এ প্লাসে এখন এক নম্বরে যে আছে সে যথাসম্ভব ৮ লাখের উপরে পাবে। ও (শরিফুল ইসলাম) কিন্তু ২ এর কাছাকাছি পাবে। যেহেতু সে মাত্র ঢুকেছে। আর তিনটা ফরম্যাটেই খেলবে।’
তিন ফরম্যাটের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সুযোগ পাওয়া পাঁচ ক্রিকেটার- সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস ও শরিফুল ইসলাম।
টেস্ট দলের চুক্তিতে থাকা থাকা ১৪ ক্রিকেটার- মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, আবু জায়েদ রাহী, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান ও এবাদত হোসেন।
ওয়ানডে দলের চুক্তিতে থাকা থাকা ১২ ক্রিকেটার- সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, শরিফুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
টি-টোয়েন্টি দলের চুক্তিতে থাকা থাকা ১৫ ক্রিকেটার- মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, নাইম শেখ, শেখ মেহেদী হাসান, নুরুল হাসান সহান, নাসুম আহমেদ ও শামীম হোসেন।