Monday, April 29, 2024
HomeScrollingপ্রতি মাসে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া...

প্রতি মাসে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক।।

প্রতি মাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত (৩০ আগস্ট) এক কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ দুই কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৭ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। মজুদ রয়েছে এক কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ ডোজ। টিকা সংগ্রহ করা এবং সবাইকে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিমাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিনোফার্মার শিডিউল অনুযায়ী অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে দুই কোটি করে ডিসেম্বরের মধ্যে ছয় কোটি টিকা পাওয়া যাবে।

করোনার টিকা সংগ্রহে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, করোনার টিকা সংগ্রহে আমরা বিশ্বের সব উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গেই যোগাযোগ স্থাপন করেছি। এর মধ্যে কেবল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিটিউ থেকে সাড়া পাই এবং অগ্রিম টাকা দিয়ে তিন কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহের চুক্তি করি। অন্যান্য উৎপাদনকারী সংস্থা থেকে টিকা পাওয়ার কোনো সাড়া মেলেনি। পরবর্তী সময়ে চীনের সিনোফার্মা এবং রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি থেকে সাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোগ নিই। এর মধ্যে সিনোফার্মার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য সমঝোতা চুক্তিও হয়েছে।

এদিকে সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নদীভাঙনের স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। বন্যা থেকে রক্ষা, নদীভাঙন নিয়ন্ত্রণ, নদী শাসন, নাব্যতা রক্ষাসহ সামগ্রিক নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ নেওয়া হয়েছে। এতে সারা দেশকে সাতটি নদী বেসিনে বিভক্ত করে সমীক্ষা সম্পাদন হচ্ছে। ইতোমধ্যে কর্ণফুলী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর বেসিনভিত্তিক সমীক্ষা শেষ হয়েছে। পানি প্রবাহের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নদীগুলোকে স্থিতিশীল রাখা ও যথাযথ পলি ব্যবস্থাপনা কৌশল অনুসরণ করে কার্যক্রম নেওয়ার মাধ্যমে দেশের বন্যা ঝুঁকি হ্রাস ও নদীভাঙন কবলিত এলাকার ভাঙন রোধ করে টেকসই উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত অর্জন সম্ভব হবে।

সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে গত চার বছর ধরে দেশীয় গবাদিপশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ সম্ভব হয়েছে। গত ঈদুল আযহার সময় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল এক কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭০০টি। আর কোরবানিকৃত পশু ছিল ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি। অর্থাৎ কোরবানিযোগ্য প্রায় ২৮ লাখ পশু উদ্বৃত্ত ছিল। গত ১২ বছরে দেশে দুধ উৎপাদন পাঁচগুণ এবং ডিম উৎপাদন চারগুণ বেড়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার বিকেলে সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন শুরু হয়। করোনার কারণে এবারের অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হবে বলে সংসদ সূত্রে জানা গেছে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments