Monday, May 20, 2024
HomeScrollingগ্রেনেড হামলা চালিয়ে ঘাতকরা দেশে গণতন্ত্রের পথ রূদ্ধ করতে চেয়েছিল: রাষ্ট্রপতি

গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ঘাতকরা দেশে গণতন্ত্রের পথ রূদ্ধ করতে চেয়েছিল: রাষ্ট্রপতি

অনলাইন ডেস্ক।।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ঘাতকরা দেশে গণতন্ত্রের পথ রূদ্ধ করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পূর্তির আগে শুক্রবার এক বাণীতে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।

তিনি বলেন, “বাঙালি জাতির ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি শোকাবহ দিন। ২০০৪ সালের এদিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহীদ হন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী।”

রাষ্ট্রপতি ২১ অগাস্ট নিহত সবার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তার বাণীতে।

তিনি বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এদিন স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে অকালে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এরপরও ঘাতকচক্র থেমে থাকেনি। তারা পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালীন ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়।”

সেদিনের হামলায় শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়। আওয়ামী লীগের আরও বহু নেতাকর্মী সেদিন আহত হন। পঙ্গুত্ব বরণ করে আজও তারা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, “ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।”

তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে হলে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা অপরিহার্য। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে সকল রাজনৈতিক দল নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণ একটি আত্মমর্যাদাশীল ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসবেন, এ প্রত্যাশা করি।”

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments