এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কেবল দূতাবাস কর্মীদের আগে যেতে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
টুইটারে দেওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানে উঠতে সিঁড়িতে ব্যাপক হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কি এবং একে অপরকে টানাহেঁচড়া করতে দেখা গেছে। কে কার আগে যাবে এ নিয়ে ধস্তাধস্তি।
আলজাজিরা জানায়, শেষের দিকের কমার্শিয়াল ফ্লাইটগুলোর একটি ধরতে আফগানদের বিমানবন্দরের রানওয়েতে অন্ধকারে হামলে পড়তে দেখা যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ফাঁকা গুলি করতে দেখা যায়। এতে সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে অধিকাংশ পশ্চিমা কূটনীতিক কাবুল ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি এখন নিশ্চিন্তে বলতে পারি অধিকাংশ পশ্চিমা কূটনীতিক এখন আর কাবুলে নেই।’ তবে কিছু সাপোর্ট স্টাফ এখনো রয়ে গেছেন বলে জানান তিনি।
রবিবার তালেবান যোদ্ধারা কাবুলে প্রবেশ শুরু করলে স্টাফদের বিমানবন্দরে সরিয়ে নিতে কাবুলের কূটনীতিক জোনে দিনভর হেলিকপ্টারের ব্যস্ততা দেখা যায়।
এদিন রাতে ৬০টি দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে কূটনীতিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে আফগানিস্তানে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের ডাক দিয়েছে তালেবান।