খুলনার চার হাসপাতালে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২১ জন আর উপসর্গ নিয়ে ১ জন মারা গেছেন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৯ জন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২ জন এবং শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ৭ জুলাই ২২ জন, গত ৬ ও ৫ জুলাই ১৭ জন, ৪ জুলাই ১৫ জন, ৩ ও ২ জুলাই ১১ জন এবং ১ জুলাই ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকালপারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, এই হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৩ জন। রেড জোনে ১২৯ জন, ইয়েলো জোনে ২৫ জন, আইসিইউতে ১৯ জন।
এই হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫১ জন।
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- খুলনার ডুমুরিয়ার আবুল বাশার মোল্লা (৪৬), বটিয়াঘাটার রিজিয়া বেগম (৬৫) ও ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের সিরাজুল ইসলাম (৬৫)।
এছাড়া হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪৫ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৪৩ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- খুলনার রূপসা বাগমারার আনসার শেখ (৬০) ও দিঘলিয়ার উত্তর চন্দনীমহলের আমেনা বেগম (৮০)।
এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন- নগরীর টুটপাড়ার আব্দুল কাদের (৬১), খুলনার রূপসার শামিমা আক্তার (৫০), বাগেরহাটের ফকিরহাটের সুভাস দত্ত (৬১), যশোর সদরের সুজনপুরের নূর জাহান (৭৫), নড়াইলের কালিয়ার বাকা এলাকার নাসিমা বেগম (৫৬), চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বাজারের আব্দুর রশিদ (৪৫), পিরোজপুর নাজিরপুরের সাকিনা বেগম (৬৫), যশোর সদরের বেজপাড়ার দুলাল চন্দ্র ঘোষ (৬৫)।
বেসরকারি এ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১২৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন ও এইচডিইউতে আছেন ১১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন। পিসিআর ল্যাবে ৬২টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৪ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।