সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে লিটন ৯৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। ১৪৭ বলে ১৩ চারে সাজান নিজের ইনিংস। সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে গড়েন ১৩৮ রানের জুটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সপ্তম উইকেট যা রেকর্ড।
আগের সেরা ছিল ৭৩, ২০১৮ সালে মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজের।
টেস্ট ক্যারিয়ারে এর আগে ২৪ ম্যাচে লিটনের সর্বোচ্চ ছিল ৯৪। এদিন পেলেন নবম ফিফটির দেখা। কিন্তু সেই ফিফটিটাকে সেঞ্চুরিকে রূপ দিতে না পারা নিশ্চিতভাবেই লিটনকে পোড়াবে অনেক দিন।
ডোনাল্ড তিরিপানোকে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ভিক্টর নিয়াচির হাতে ক্যাচ হন লিটন। উইকেট ছাড়ার সময় তার অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল কতটা হতাশ তিনি।
সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পর উইকেটে এসেছিলেন লিটন। বাংলাদেশের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ১০৯। ম্যাচে ফিরতে বাংলাদেশের তখন প্রয়োজন ছিল বড় জুটি।
অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে লিটনের ষষ্ঠ উইকেট জুটিটা ৩৮ রানেই থামে। মুমিনুল ফিরে যান ব্যক্তিগত ৭০ রানে।
এরপর মাহমুদউল্লাহ উইকেটে এলেন। লিটনের সঙ্গে দারুণ এক জুটি হলো তার। যে জুটি ম্যাচে ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশকে। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে মাহমুদউল্লাহ তুলনামূলক ধীর ব্যাটিং করেন। লিটন অবশ্য সুযোগ পেলেই উপহার দিয়েছেন দারুণ কিছু শট।
লিটন ৮৬ বলে পূরণ করেন ফিফটি। এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাটা পড়তে হয় নার্ভাস নাইনটিতে।
লিটনের বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৭০। পরের বলেই মেহেদী হাসান মিরাজকে (০) ফিরিয়েছেন তিরিপানো।
আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা ৭ ওভার বাকি থাকতেই শেষ হয়েছে। ৮ উইকেটে ২৯৪ রান তুলে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫৪ ও তাসকিন আহমেদ ১৩ রানে নিয়ে বৃহস্পতিবার নতুন দিনের ব্যাটিং শুরু করবেন।