সভায় স্বরাষ্ট্রসচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, আইজিপি ড.বেনজীর আহম্মেদ, বিজিবি, কোস্টগার্ড প্রধানসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ঢাকায় কোথায় গরুর হাট বসবে সেটি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কতগুলো হাটের অনুমোদন তারা দিয়েছেন, সেটা এই মুহূর্তে আমি বলতে পারব না। তবে অনেকগুলো হাট এবার তারা বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে এবার অনলাইন গরুর হাটকে আমরা উৎসাহিত করছি।
তিনি বলেন, রাস্তা খারাপের জন্য যানজট হচ্ছে। আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা সড়ক বিভাগকে অনুরোধ করেছি, তারা যতটুকু সম্ভব রাস্তা সংস্কারের কাজ যেন করে। বিশেষ করে গাজীপুরের রাস্তাটি এবং টাঙ্গাইলের একটি অংশে দ্রুত সংস্কার করার জন্য বলেছি।
ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু পরিবহনের সময় চাঁদাবাজি বন্ধে বিশেষ নজরদারি থাকবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পশুবাহী যানবাহনগুলোকে জোরপূর্বক যেখানে-সেখানে থামান যাবে না। দেশের শিল্প এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। শিল্প এলাকায় যে কোনো নাশকতা প্রতিরোধে গোয়েন্দারা তৎপর থাকবেন। আরিচা দৌলতদিয়া-মাওয়া ও বাংলাবাজারসহ সব ফেরিঘাটে যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয় সে জন্য আগাম প্রস্তুতি থাকবে। নৌযানগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশুর চামড়া কেনাবেচা সিন্ডিকেট প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঈদের আগেই চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেবেন। চামড়া পাচার রোধে এবং চামড়াজাত সীমান্ত অভিমুখে যেতে না পারে সেই ব্যবস্থাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগে থেকে করবে। ঈদ উপলক্ষে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ করে মসলাসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও ভেজাল মেশানো রোধে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট থাকবে। ঈদের সময় সড়ক-মহাসড়ক এবং শিল্পাঞ্চল এলাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো জরুরি উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স এবং কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত থাকবে। গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নির্দিষ্ট সময়ে দেওয়ার জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আমাদের সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠান নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতবারের মতো এবারও তারা শ্রমিকদের বেতন সময়মতো পরিশোধ করবেন। গতবার শ্রমিকদের ছুটি নিয়ে একটু জটিলতা হয়েছিল। সেটা যাতে এবার না হয় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তারা সবার সঙ্গে আলোচনা করে আগেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন উপলক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ করোনা মোকাবিলায় যেসব নির্দেশনা দেবে তা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য সবাই প্রস্তুত থাকবেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সবাইকে আমাদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
কোরবানির হাটে জনসমাগম সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের দায়িত্ব হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের। আইনটা তাদের। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেছেন। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী তাদের অনুরোধ অনুযায়ী কাজ করছে। তা ছাড়া সারা দেশ থেকে যেসব ব্যাপারীরা ঢাকায় আসবেন তারা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসেন সে বিষয়ে আমাদের নজরদারি থাকবে।
এনআইডির কার্যক্রম কবে নাগাদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আসছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো অন্য প্রসঙ্গ। এনআইডি হস্তান্তরে সরকারিভাবে মাত্র সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটায় (হস্তান্তরে) লম্বা সময় লাগবে। আমাদের মন্ত্রণালয় একটা ব্যবস্থার মাধ্যমে কাজ শুরু করবে। এনআইডি নিয়ে অনেকে অনেক বিতর্ক করছে। এটা তো এমন এক জিনিস, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতেও এনআইডি লাগে, মোবাইলে (সিম কিনতে) এনআইডি লাগে, শনাক্ত করতে এনআইডি লাগে’।