বিবিসি বলছে, এবারের নির্বাচনে রক্ষণশীল শিয়া আলেম ইব্রাহিম রাইসি পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। মধ্যপন্থী আবদলনসার হেমমতী তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শুক্রবার সকালে তেহরানে নিজের ভোট দিয়েছেন। সাধারণ মানুষকেও ভোটে উৎসাহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ভোট হিসাবের…আসুন, ভোট দিন নিজের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করুন। আপনার দেশের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের মোট ভোটার ৫ কোটি ৯৩ লাখের কিছু বেশি। এদের মধ্যে ২ কোটি ৯৩ লাখ ৩০ হাজার নারী ও ২ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার পুরুষ। এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ইরানের ১৩ লাখ তরুণ। তাই এবারের নির্বাচনে নারী ও তরুণ ভোটাররা প্রভাবক হয়ে উঠতে পারেন।
এবারের নির্বাচন ঘিরে শুরু থেকে নাটকীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে ইরানের রাজনীতি। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদসহ কয়েকজনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে আগেই। ভোট গ্রহণের প্রাক্কালে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনজন।
তারা হলেন পারমাণবিক চুক্তিতে দেশটির সাবেক আলোচক সায়েদ জালিলি, আইনপ্রণেতা আলিরেজা জাকানি ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহসিন মেহেরআলিজাদেহ। এর মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ভোটের লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন চারজন প্রার্থী।