২৬ বছর বয়সী তাসনিম টিম হ্যালো নামের এক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এভাবে প্রচার চালাচ্ছেন।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি ২৫-২৯ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। জারা কাজ করেন বেসিংস্টোক অ্যান্ড নর্থ হ্যাম্পশায়ার হাসপাতালে। টিকটকে প্রথম আসলেও এমনিতে আগে থেকেই বাংলায় তিনি ভিডিও বানান।
পিএ নিউজ এজেন্সি তার টিকটিক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংবাদমাধ্যমটিকে তিনি বলেন, ‘মহামারীর শুরু থেকে অনেক ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। এখন ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিন নিয়ে। এসব মোকাবিলার চেষ্টা করছি আমরা।’
জারার ভিডিও ২৮০ মিলিয়নের বেশিবার দেখা হয়েছে। ইউটিউবে তার ফলোয়ার ৮ লাখ, ফেইসবুকে প্রায় ৯ লাখ।
তাসনিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়ছেন। স্নাতকোত্তরে তার পড়ার বিষয় ‘এভিডেন্স বেজড মেডিসিন’।
তাসনিম জারা বলছিলেন, এই বিষয়টির অন্যতম লক্ষ্য, একজন চিকিৎসক যেন রোগীকে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে চিকিৎসা পরামর্শ দেন এবং অতিরিক্ত ওষুধ প্রদান না করেন। শেখানো হয় অসংখ্য গবেষণার মধ্যে সেরা গবেষণাটি চিহ্নিত করার পদ্ধতি।
করোনা মহামারির শুরু থেকেই ইংল্যান্ডের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তাসনিম জারা। চিকিৎসক হিসেবে সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতা হচ্ছে তার। অন্য সময়ের চেয়ে কাজের ক্ষেত্রে বেশি মানসিক চাপও নিতে হচ্ছে।