গানটি বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছুদিন ধরে তুমুল আলোচনায়। ঢাকা মেডিকেলের কয়েক জন ইন্টার্নি ডাক্তার হাসপাতালে বসে নেচে ভাইরাল হন। তারা অবশ্য কভিড রোগীদের চিকিৎসক ছিলেন না।
ইন্দ্রানী একদম রোগীদের খুব কাছে দাঁড়িয়ে টেবিলে মোবাইল রেখে গান বাজিয়ে নেচেছেন।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ইন্দ্রানী দত্ত ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কভিড রোগীদের আনন্দ দিতে দমবন্ধ পরিবেশ থেকে নিজেরাও একটু আনন্দ পেতে এই নাচ।’
গানটির আসল রচিয়তা কে তা নিয়ে বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে বেশ আলোচনা হয়েছে। এখন যেটি বেশি বাজানো হচ্ছে, সেটি মূলত রিমেইক করা।
সুমনকুমার দাশের সাম্প্রতিক একটি লেখায় বলা হয়েছে, শাস্ত্রীয় সংগীতের গুরু এবং লোকগানের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী রামকানাই দাশের ‘আইলো রে নুয়া জামাই’ গানটি তার মা দিব্যময়ী দাশের রচনা।
রামকানাই দাশের মেয়ে কাবেরী দাশ বলছেন, ১৯৬৫ সালে গানটি তার ঠাকুরমা (দাদী) দিব্যময়ী দাশ রচনা করেন। ১৯৭৩ সালে এটি দিব্যময়ীর কাছ থেকে সংগ্রহ করে শিল্পী ইয়ারুন্নেসা খানম (২০২০ সালে প্রয়াত) সিলেট বেতারে রেকর্ড করেন। যেহেতু দিব্যময়ী বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার ছিলেন না, তাই এটি ‘সংগৃহীত’ হিসেবে রেকর্ড হয়েছিল। রেকর্ডে ‘জামাই’ শব্দটি ‘দামান’ এবং কিছু শব্দের অদলবদল করা হয়েছিল।